| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর কারণে আজ হাতে হাতে কম্পিউটার: মোস্তাফা জব্বার


প্রধানমন্ত্রীর কারণে আজ হাতে হাতে কম্পিউটার: মোস্তাফা জব্বার


রহমত ডেস্ক     25 August, 2022     09:38 AM    


প্রধানমন্ত্রীর কারণে আজ হাতে হাতে কম্পিউটার পৌঁছেছে বলে দাবি করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আজ হাতে হাতে কম্পিউটার পৌঁছেছে। বাংলাদেশে কম্পিউটার আসছে ১৯৬৪ সালে, পরবর্তীতে এর বিকাশ ঘটতে ঘটতে শেখ হাসিনা ৯৮-৯৯ সালে বাজেটে যখন কম্পিউটারের উপর শুল্ক তুলে দেয় তারপর থেকে হাতে হাতে কম্পিউটার গেছে। কিন্তু যে জায়গার মধ্যে আমাদের সংকট ছিল কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয় কিভাবে তা আমরা শিখছি, সফটওয়্যার বানাতে হয় সেটাও শিখছি। সফটওয়্যার আমরা রপ্তানি করি।

বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় মুন্সিগঞ্জ সদরের জাজিরা কুঞ্জনগর ও বাঘাইকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করে পাঠদান ও শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থা যে কাগজ ভিত্তিক ট্র্যাডিশনাল ফরমেট ছিল সে ফরমেটেই বিরাজ করছে। আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা এ ফরমেট ভাঙবো। পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশ আর কাগজ নির্ভর লেখাপড়ার ওপরে নেই। বাস্তব বইয়ের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করেছি। আমরা এটা শুরু করেছি শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। আমাদের কাছে সবচেয়ে সহজ মনে হয়েছে।   আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমরা টেলিকমিউনিকেশন সেবা দিতে পারি, একই সঙ্গে আমরা শিক্ষার বিস্তারে সহায়তা করতে পারি। টেলিকমিউনিকেশন বিকাশের জন্য যে কাজটি করা দরকার তা আমরা করছি। আমরা দুর্গম, হাওর গুলোতে টেলিকম নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেছি।

মন্ত্রী বলেন, ৬৫০টি প্রাইমারি স্কুল এবং ২৮টা পাড়া কেন্দ্রে ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে । আগামীতে ক্লাস গুলোতে বই ছাড়া পড়ানো সম্ভব হবে। আমি বিশ্বাস করি বই থেকে যে লেখাপড়া করার সুযোগটা যদি একজন শিক্ষার্থী কাগজের বইয়ের মৃত হরফ আর মৃত ছবির বদলে একটা জীবন্ত ছবি দেখতে পায়, একটি চলমান ছবি দেখতে পায়, অক্ষর যদি কথা বলে, তার সঙ্গে যদি ইন্টারেকশন করতে পারে সেটা অসাধারণ একটি কাজ হয়ে যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা আক্ষেপ করছে আমরা টেলিভিশন দিয়ে পড়াচ্ছি হাতে কেনো ডিজিটাল যন্ত্র দিচ্ছি না। এটিও আমাদের পরিকল্পনা মধ্যে আছে। ৬৫০টি স্কুলের মধ্যে ৮০টি স্কুলে এই ধরনের যন্ত্র দিবো, এবং ধীরে ধীরে বাকি স্কুল গুলোকেও এভাবে সজ্জিত করবো। আমি বিশ্বাস করি শিশুদেরকে যদি হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া যায় তবে তার সঙ্গে কোনো তোলনা হবে না।

শিশুদেরকে প্রোগ্রামার বানানোর পরিকল্পনা কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো স্কুলে শিশুদেরকে প্রোগ্রামার বানানোর জন্য যা দরকার একটি সফটওয়্যার দিচ্ছি আমরা। যাতে তারা নিজেরা প্রোগ্রামা তৈরি করতে পারে। গেইম বানিয়ে তারা যেনো নিজেরা খেলতেও পারে। এটি যে দক্ষতা হবে তা সম্পূর্ণ একটি উন্নত দেশে দক্ষতা। এর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত, প্রত্যন্ত চর, হাওর, বিল এলাকায় আমরা এটা আগে করবো।

পরে সন্ধ্যায় জেলার মিরকাদিম পৌরসভার একটি ডাকঘর পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।