| |
               

মূল পাতা জাতীয় মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবস জাতীয়ভাবে উদযাপনের দাবি


মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবস জাতীয়ভাবে উদযাপনের দাবি


রহমত ডেস্ক     11 July, 2022     07:02 PM    


আজ ১১ জুলাই মিরসরাই ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকী। ২০১১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা দেখে শিক্ষার্থীরা ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে মিরসরাইয়ে আবু তোরাব সড়কে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবার পানিতে উল্টে যায়। এতে ৪৪ জন শিক্ষার্থী ও একজন অভিভাবক মোট ৪৫ জন নিহত হয়। নিহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৪ জন ছিল আবু তোরাব উচ্চবিদ্যালয়ের এবং বাকিরা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর শোকার্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানাতে ছুটে গিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া-সহ দেশি-বিদেশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে দুর্ঘটনাটি সারা বিশ্বে আলোচিত হয়। সেই থেকে ১১ জুলাই দিনটি “মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবস” হিসেবে স্থানীয়ভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে।

‘মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবস’ জাতীয়ভাবে উদযাপনের দাবি জানিয়েছেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যারবৃন্দ অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ শাহজাহান সিদ্দিকী, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হামিদ শরীফ, অধ্যাপক হাসিনা বেগম এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। আজ (১১ জুলাই) সোমবার বিকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যুক্ত তারা এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একসাথে এতজন শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা দেশে নজিরবিহীন। ট্রাক চালকের অদক্ষতা ও মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় সন্তান হারিয়ে পিতা-মাতার যে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে, যে বুকভাঙ্গা কষ্ট সইতে হচ্ছে সেজন্য হলেও দিবসটি জাতীয়ভাবে উদযাপন করা উচিত। আমরা এই দিনটিকে “জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস” করারও পক্ষপাতি। কারণ মৃত্যু এবং সংখ্যার বিচারে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করলে তা যেমন নিহত শিক্ষার্থীদের শোকার্ত পরিবারের প্রতি উপযুক্ত সম্মান ও সমবেদনা জানানো হবে, তেমনি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হবে। নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং “সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮” পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা এবং তাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তারা।