| |
               

মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশন ‘ইভিএম নিয়ে পক্ষের চেয়ে বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে’


‘ইভিএম নিয়ে পক্ষের চেয়ে বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে’


রহমত ডেস্ক     28 June, 2022     08:34 PM    


প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা যখন দায়িত্ব নেই, কিছুদিন পর থেকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম নিয়ে কথাবার্তা পত্র-পত্রিকায় চাউর হয়েছিল। এর পক্ষের থেকে বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে। আমাদের শুরু থেকেই ইভিএম সম্পর্কে সেরকম ধারণা ছিল না। আমাদের ব্যক্তিগত ধারণাও ছিল না। আমরা ইতোমধ্যেই ইভিএম নিয়ে অনেক কাজ করেছি। এখন মোটামুটি ধারণা আছে। ইভিএম নিয়ে পক্ষের চেয়ে বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে।

আজ (২৮ জুন) মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ১০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইভিএম সংক্রান্ত সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন-ইসি।সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজকে ১৩ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে করতে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে ইসি। এর আগে, দুই ধাপে ২৬ রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। গত ১৯ ও ২১ জুন দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ইভিএম যাচাই বিষয়ক সভা করেছে ইসি। এ দুই ধাপে ১৮টি দল উপস্থিত থাকলেও সাড়া দেয়নি বিএনপিসহ আটটি দল।

সিইসি বলেন, এর আগে আমরা দুটি সংলাপ করেছি। অনেকেই কিন্তু ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। অনেকে সল্যুশন দিয়ে বলেছে, আরও উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে যদি ইভিএম ক্রয় করা যায় তাহলে আরও ভালো হয়। আবার অনেকে সরাসারি বলেছেন আমরা ইভিএমে নির্বাচনে যাব না। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো। কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করবো সেটা আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আজকে আপনারা বড় বড় দলের অনেকেই এসেছে। মাননীয় মন্ত্রী স্বয়ং নিজেই এসেছেন, যেটা আমি প্রত্যাশাও করেনি। আপনি এসেছেন আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। আজকে আমাদের আলোচনাটা ইভিএমেরই মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আপনারা ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে বলতে পারেন। আমরা আপনাদের কথাগুলো শুনবো। আমরা আপনাদের আলোচনা শুনে পরবর্তী সময়ে বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্তে উপনীত হবো।

আজকের সংলাপে যেসব দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে :  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।