বিজেপির পররাষ্ট্র বিভাগের ইনচার্জের সঙ্গে আ’লীগের বৈঠক

ঢাকায় সফররত ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির বৈদেশিক বিষয়ক বিভাগের ইনচার্জ ডক্টর বিজয় চাতওয়ালার সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  আওয়ামী লীগ ও বিজেপির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ (১৪ মার্চ) সোমবার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশের দুই রাজনৈতিক দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এর আগে সকালে বিজয় চৌথাইওয়াল ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিজয় চৌথাইওয়াল ১৪ দল, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটি ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাথে বৈঠক করবেন।

বৈশ্বিক মহামারী মরণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রসংশা করে বৈঠকে বিজয় চৌথাইওয়াল বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় শেখ হাসিনা একজন সফল প্রধানমন্ত্রী। করোনাকালীন সময়েও তিনি যে ভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতির চাকা সচল রেখেছেন তা অবশ্যই প্রসংশার দাবী রাখে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে এসেছিলেন। গত এক দশকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। বিজেপি সব সময় আওয়ামী লীগের সফলতা কামনা করেন তিনি।

বিজয় চৌথাইওয়াল বলেন, বিজেপি’র তরুণ নেতাদের সাথে সাথে আওয়ামী লীগের তরুণ নেতাদের যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে। একই সাথে নারী সদস্যদের মধ্যেও সম্পর্কের উন্নয়ন করতে হবে। তারা নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারলেই সম্পর্কের আরও উন্নয়ন হবে। করোনা কালিন আমাদের মধ্যে যোগাযোগ বাধাগ্রস্থ হয়েছে, এখন তা বৃদ্ধি করতে হবে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে ধণ্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে বিজেপির পক্ষ্য থেকে আরও বড় টিম বাংলাদেশ সফরে আসবে। একই সাথে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে ভারতে সফরের আমন্ত্রন জানান তিনি।

বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ বাংলাদেশে এসেছিলেন। এছাড়াও সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসেছিলেন। এর ফলে দু’দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে।