| |
               

মূল পাতা জাতীয় খুনি রাশেদকে ফেরতের বিষয়ে কথা বলবেন কানাডার হাইকমিশনার


খুনি রাশেদকে ফেরতের বিষয়ে কথা বলবেন কানাডার হাইকমিশনার


রহমত ডেস্ক     16 February, 2022     10:01 PM    


কানাডায় অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নুর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কানাডার সরকারকে অবহিত করবেন বলে জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বলেছেন, নুর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বুঝতে পারি, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে আমার সরকারকে বিষয়টি জানাব। খুনি নুর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কানাডা সরকারের অবস্থান বিষয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দেবেন। তবে আমি বলতে চাই যে বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন নতুন হাইকমিশনার। আগামী ৮ মার্চ আমিরাত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে সম্প্রতি দেশটি সফর করে দেশে ফিরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার সেই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

খুনি নুর চৌধুরী ইস্যুতে হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি নুর চৌধুরীকে আশ্রয় দিয়েছে কানাডা। কানাডা পৃথিবীর সব খুনিকে আশ্রয় দেওয়ার জায়গা হওয়া উচিত নয়। আমি কানাডিয়ানদের বললাম, পৃথিবীর সব খুনিকে আশ্রয় দেওয়ার স্থান কানাডা হওয়া উচিত নয়। এই লোকটাকে ফেরত দিয়ে বদনাম থেকে তোমরা মুক্ত হও। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে পাঁচ জনকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা খুনি রাশেদ চৌধুরী ও কানাডায় অবস্থান করা নুর চৌধুরীর বিষয়ে তথ্য জানা থাকলেও বাকি তিন জনের সঠিক অবস্থান সরকারের জানা নেই।  দুজনের একজন কানাডায় এবং আরেকজন যুক্তরাষ্ট্রে আছে। তাদের আনার জন্য যা যা প্রচেষ্টা, আমরা সেটি চালিয়ে যাচ্ছি। 

তিনি আরো বলেন, আমরা যখনই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ করি, এ বিষয়টি উত্থাপন করি। তাদের সঙ্গে অনেক ইতিবাচক আলাপ হয়েছে। আমরা চাইছি তাদের সঙ্গে সরাসরি শিপিং যোগাযোগ। তারাও বলেছে, ডাইরেক্ট শিপিং হলে ভালো। আমরা ওই দেশ থেকে আমদানি করি প্রায় ১৮০ কোটি ডলারের পণ্য এবং গত বছর আমরা প্রায় ৫০ কোটি ডলারের মতো পণ্য পাঠিয়েছি। আমাদের যথেষ্ট সবজি আছে, কৃষিজাত পণ্য আছে এবং সেগুলো আমরা আরও বেশি করে পাঠাতে চাই। র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। ওটার ওপরে আমরা কাজ করছি।