মেয়েদের উত্তেজক পোশাকের জন্যই ভারতে ধর্ষণ বাড়ছে: বিজেপির বিধায়ক

মেয়েদের উত্তেজক পোশাকের জন্যই ভারতজুড়ে ধর্ষণ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির বিধায়ক রেনুকাচার্য। তিনি বলেন,  কলেজে পড়ার সময় ছাত্রীদের ইউনিফর্ম বা এমন পোশাক পরা উচিত যা তাদের শরীরকে পুরোপুরি ঢেকে রাখে। নারীদের কিছু পোশাক পুরুষদের উত্তেজিত করে বলে ভারতে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে, যা ভালো নয়। কারণ আমাদের দেশে নারীদের সম্মান আছে, আমরা তাদের মা হিসেবে গণ্য করি।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধির করা একটি মন্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।

এর আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বলেছিলেন, বিকিনি অথবা ঘোমটা, জিন্স কিংবা হিজাব কে কী পরতে চায় সেটা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। একজন নারীর এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্ণ অধিকার আছে।

প্রিয়াঙ্কার এই মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে রেনুকাচার্য বলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি একজন নারী, একজন কংগ্রেস নেতা… আমরা মুসলিম নারীদের মৌলিক অধিকার (হিজাব ইস্যুতে) নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। কেরালা এবং বম্বে হাইকোর্ট বলেছে যে স্কুল এবং কলেজগুলিতে ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক, সরকারও একই কথা বলেছে। ছাত্রীর (পোশাক) জন্য বিকিনি শব্দ ব্যবহার করা উপেক্ষাযোগ্য। কলেজে পড়ার সময় ছাত্রীদের ইউনিফর্ম বা এমন পোশাক পরা উচিত যা তাদের শরীরকে পুরোপুরি ঢেকে রাখে। নারীদের কিছু পোশাক পুরুষদের উত্তেজিত করে বলে ভারতে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে, যা ভালো নয়। কারণ আমাদের দেশে নারীদের সম্মান আছে, আমরা তাদের মা হিসেবে গণ্য করি।

উল্লেখ্য, গত মাসে (জানুয়ারি) ভারতের কর্ণাটকের উদুপি জেলায় এক সরকারি কলেজের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলকের অজুহাতে মুসলিম নারীদের মৌলিক অধিকার হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর থেকেই মুসলিম শিক্ষার্থীরা নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানান। স্থানীয় কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলো এর বিরোধিতা করলেও দলিত হিন্দুদের অনেকেই মুসলিম শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন।