| |
               

মূল পাতা জাতীয় আমাদের নেত্রী তাহাজ্জুদ ও ফজরের নামাজ দিয়ে দিন শুরু করেন : তথ্যমন্ত্রী


আমাদের নেত্রী তাহাজ্জুদ ও ফজরের নামাজ দিয়ে দিন শুরু করেন : তথ্যমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     25 January, 2022     07:19 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন আসলেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি আর কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি নিয়ে মুলা ঝুলিয়ে রাখত বিএনপি। কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি বিএনপি দেয়নি, এরশাদও দেয়নি। স্বীকৃতি দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। স্বীকৃতির পর অনেকে বলেছে চাকরি হবে না। শুধু স্বীকৃতি নয়, সরকারি চাকরিও দিয়েছেন। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাহাজ্জুদ ও ফজরের নামাজ দিয়ে দিন শুরু করেন। তিনি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। শুধু ইসলাম ধর্মের জন্যই নয়, তিনি সব ধর্মের মানুষের জন্যই কাজ করেন। নির্বাচন আসলে ইসলামের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার দিন শেষ হয়ে গেছে। 

আজ (২৫ জানুয়ারি) মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি আয়োজিত ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ, ইসলামিক স্কলারস শায়খ আহমাদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে মদ-জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন, জিয়াউর রহমান এসে সেটি চালু করেছিলেন। বাংলাদেশের আলেমদের শতবর্ষী দাবি ছিল, দেশে একটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। কওমি মাদরাসার দাবি ছিল স্বীকৃতি পাওয়া। তাদেরকে সনদের নামে মুলা ঝুলিয়ে রাখেন এরশাদ, খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান সবাই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সে দাবি পূরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুবিজুর রহমান দেশে মদ-জুয়া বন্ধ করলেও জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেটি চালু করেছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন আসলে ধর্মকে ব্যবহার করি না। ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত। তারা ধর্মকে ব্যবহার করে ভারতবিরোধী শ্লোগান দিয়ে নির্বাচন করে। কিন্তু তারা ধর্মের জন্য কিছু করেনি। আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না, ধর্মের জন্য কাজ করি। শুধু ইসলাম ধর্মের জন্য নয় আলেমদের জন্যও তিনি কাজ করেছেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টানদের জন্য বহু কাজ আমাদের সরকার করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে একটি করে মসজিদ হবে, এটা কখনো কেউ ভাবেনি। প্রধানমন্ত্রী সেটি বাস্তবায়ন করেছেন। দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর সারা বাংলাদেশে মসজিদভিত্তিক মক্তব চালু করেছেন। সেখানে আলেমরা ভাতা পাচ্ছেন। এটা আগে কেউ ভাবেনি। আমাদের সরকারের নেতৃত্বে দেশ যেভাবে করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে যাচ্ছে, অনেক দেশই সেটা পারেনি। আমরা যখন টিকা কার্যক্রম শুরু করি, তখন আমেরিকা থেকে মানুষ এসে আমাদের দেশে টিকা নিয়েছে। অনেকেই তখন বলেছিল, এই টিকা কাজ করবে না। কিন্তু তারাই গোপনে গিয়ে টিকা নিয়েছে। মির্জা ফখরুল ও জাফরুল্লাহ সাহেব টিকা নিয়েছেন।