| |
               

মূল পাতা রাজনীতি গণঅভ্যুত্থানের সূচিমুখ খুলেছিলেন শহীদ আসাদ : মেনন


গণঅভ্যুত্থানের সূচিমুখ খুলেছিলেন শহীদ আসাদ : মেনন


রহমত ডেস্ক     24 January, 2022     10:13 PM    


বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ড্রেস রিহার্সাল ছিল। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানই এ দেশের ছাত্র, যুবক, শ্রমিক-কৃষকদের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে মানসিকভাবে ও সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত করেছিল। সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের একক নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, তারও ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানই বঙ্গবন্ধুকে এই অভিধায় অভিষিক্ত করেছিল। আর এই গণঅভ্যুত্থানের সূচিমুখ খুলে দিয়েছিলেন শহীদ আসাদ। আর আটষট্টির শেষে এসে আয়ুইবি শাসন উৎখাতের চূড়ান্ত আন্দোলনটি শুরু করেছিলেন মওলানা ভাসানী। কিন্তু এখন অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ দিবসও সংবাদপত্র-টেলিভিশনে সেভাবে জায়গা পেলেও শহীদ আসাদ, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান সেভাবে জায়গা পায় না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রাক-ঊনসত্তর আন্দোলন অভ্যুত্থানের বিষয় জায়গা পায়নি।

আজ (২৪ জানুয়ারি)সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি আয়োজিত ‘আসাদ থেকে গণঅভ্যুত্থান: বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে মেনন এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আবুল হোসাইন।

মেনন বলেন, ‘আয়ুইব শাসকের দাপটে সব আন্দোলন যখন স্তিমিত, রাজনীতিক ও ছাত্রনেতারা অধিকাংশ জেলে অথবা আত্মগোপনে; সেনাছাউনিতে রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য তথা ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলা চলছে; সে সময় বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের মাধ্যমে মওলানা ভাসানীকে খবর পাঠিয়েছিলেন তার মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগের একনিষ্ট সমর্থক এবিএম মুসা তার বইতে এ কথা লিখে গেছেন। আটষট্টির ৬ ডিসেম্বর আইয়ুবের চূড়ান্ত পতনের লক্ষ্যে মওলানা ভাসানী যে আন্দোলনের সূচনা করেন তারই ধারাবাহিক কর্মসূচিতে ২৯ ডিসেম্বরের হরতালে পুলিশের লাঠিতে মাথা ফেটে গিয়েছিল শহীদ আসাদের। ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নেতা ছাত্রজীবন শেষে কৃষক আন্দোলনে যোগ দেবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই আসাদ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১-দফা দাবির আন্দোলনের কর্মসূচিতে জ্বর নিয়েও মিছিলে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন। তার কথা অথবা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণ না করে মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করা যায় না।