| |
               

মূল পাতা জাতীয় আদালতের অনুমতি পেলে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ তদন্ত শুরু


আদালতের অনুমতি পেলে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ তদন্ত শুরু


রহমত ডেস্ক     07 January, 2022     11:59 PM    


আদালতের অনুমতি পেলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার স্ত্রীর করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্ত শুরু করবে পুলিশ। এরইমধ্যে আদালতের অনুমতি নিতে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল মিয়া বলেন, এই ধরনের জিডি তদন্তের একটা প্রক্রিয়া আছে। তা হলো এই ধরনের জিডি আদালতের অনুমতি নিয়ে তদন্ত করতে হয়। আমরা আদালতের অনুমতির প্রক্রিয়া করতেছি। আদালত অনুমতি দিলে আমরা তদন্ত শুরু করব।

এর আগে গতকাল দুপুরে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয় জরুরি সেবা '৯৯৯' এ ফোন করেন স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ডা. মুরাদের বাসায় যায়। একইদিন সন্ধ্যায় স্বামীর বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় জিডি করেন ডা. জাহানারা এহসান। নারীর বিরুদ্ধে অবমননাকর বক্তব্যের দায়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। জিডি নম্বর ৩৩৪, ৬ জানুয়ারি ২০২২। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এ জিডি করেন তিনি।

এদিকে নানা সময়ে রাজনীতির ভেতরে-বাইরের বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কিত বক্তব্য রেখে আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মুরাদ হাসানকে। সবশেষ বিএনপি চেয়ারপারসন ও তার পরিবারের নারী সদস্যদের নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়া নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এই বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহীর সঙ্গে অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁস হয় ডা. মুরাদের। এরপরই বেকায়দায় পড়ে যান মুরাদ। এমন কর্মকাণ্ডে চটে যান খোদ প্রধানমন্ত্রী। নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে। এরপরই শুরু হয় দলের অ্যাকশন৷ অব্যাহতি দেয়া হয় মুরাদের জেলা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদকের পদ থেকে। একে একে উপজেলা, ইউনিয়নের পদ থেকেও মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরইমধ্যে আত্মগোপনে চলে যান এই রাজনীতিক। আত্মগোপনে থাকাবস্থায় জমা দেন পদত্যাগপত্র। গৃহীত হওয়ায় মন্ত্রীপরিষদের তালিকা থেকে বাদ পড়েন ডা. মুরাদ। পরে হঠাৎ করেই খবর শোনা যায় দেশ ছাড়ছেন মুরাদ। যাচ্ছেন কানাডা। কিন্তু সেখানেও ভাগ্য সহায় হয়নি তার। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের জেরার মুখে আর দেশটিতে ঢোকার সুযোগ পাননি সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। পরে চলে যান দুবাই। সেখানেও ব্যর্থ হওয়ার পর আর উপায় না পেয়ে মুরাদ হাসান গত ১২ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর ডা. মুরাদ নিজের মোবাইল বন্ধ করে দেন এবং আত্মগোপনে চলে যান। এরপর থেকে তিনি কোথায় আছেন, সেই তথ্য কেউই জানত না। প্রথম ক'দিন তিনি উত্তরায় তার ভাইয়ের বাড়িতে ছিলেন বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছিল। পরে তিনি ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় আসেন।