| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘বঙ্গোপসাগরে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে’


‘বঙ্গোপসাগরে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে’


রহমত ডেস্ক     06 January, 2022     06:43 PM    


‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, ২০২০-২০৩০’ এর আওতায় বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। পরিকল্পনাটি প্রস্তাব আকারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে মন্ত্রিসভা এটি আরো পর্যালোচনা করতে বলেছে। আজ (৬ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হলেও তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আরও পর্যালোচনা করে আবারো উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা যোগ দেন।

বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পে আজ অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অবজারভেশন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে আলোচনার পরে এটিকে আরেকটু রিভিউ করতে বলা হয়েছে। কারণ, একটি বিষয় হলো, যেকোন নীতি, স্ট্র্যাটেজি বা চুক্তিতে যদি আর্থিক বিষয় থাকে, তাহলে ফাইন্যান্সের একটি ভেটিং নিয়ে আসতে হবে। এতে ফাইন্যান্সের ভেটিং ছিল না। সেজন্য কিছু-কিছু অবজারভেশন আছে; সেগুলো দেখে আর ফাইন্যান্সের কাছ থেকে ভেটিং নিয়ে তারপর আবার উপস্থাপন করতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে টেকসই সমৃদ্ধি, জ্বালানি আমদানি নির্ভরতা কমানো, কর্মস্থান জোরদার করা এবং প্রচলিত জীবনযাপনের উন্নয়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, আর্থিক নীতি ও কাঠামোর মধ্যেই পরিকল্পনাটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তার একটি স্ট্র্যাটেজি দেওয়া হয়েছে, এখানে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নের বিষয়টিও আনা হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরিকল্পনাটির মাধ্যমে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে ৪ গিগাওয়াট একটি বায়ু বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের প্রজেকশন দেখানো হয়েছে। এছাড়া কয়লা, তেল, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নসহ প্রজেকশন দেখানো হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পজেটিভ বা নেগেটিভ যে বিষয় আছে, এগুলো সবাইকে অবহিত করা, বিশেষ করে ওদের একটি প্রজেকশন দেখানো হয়েছে; প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে এখানে। আমাদের জিডিপিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে। এ স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এটি এখানে আনা হয়েছিল।