রহমত ডেস্ক 28 December, 2021 09:26 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,খালেদা জিয়া আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সংবিধানের ৪০১ ধারা অনুযায়ী বিএনপির চেয়ারপারসনকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার সুযোগ আছে। কিন্তু নানা অজুহাতে খালেদা জিয়াকে সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের ডাক দিয়েছেন। এই সংলাপ অর্থহীন। এই সংলাপ গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। সরকারকে পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।
আজ (২৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবীরের সঞ্চালনায় সমাবেশে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। দেশের মানুষকে ১৯৭১ ও ১৯৯০ সালের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে। অবৈধ সরকার জনগণকে দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জনগণের সমর্থনবিহীন এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার দেশের সব সুন্দর জিনিসকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্র, বিচার বিভাগসহ প্রসাশনিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার দেশের সাবেক সেনা প্রধানের সে দেশের ভিসা বাতিল করেছে। সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। এই সরকার জনগণকে ১০ টাকা কেজি চাল দিবে বলে ক্ষমতায় এসেছে। এখন চালের দাম ৭০ টাকা। ঘরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও সে ওয়াদা রক্ষা করতে পারেনি। চাকরি পেতে এখন লাখ লাখ টাকা ঘুষ গুনতে হচ্ছে।