| |
               

মূল পাতা জাতীয় মানুষের অধিকার সুরক্ষায় সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে : গওহর রিজভী


মানুষের অধিকার সুরক্ষায় সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে : গওহর রিজভী


রহমত ডেস্ক     13 December, 2021     09:54 PM    


মানুষের অধিকার সুরক্ষায় সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গহওর রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকারের অনেক অর্জন থাকলেও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য কিছু বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে। সেই ঘাটতি পূরণে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে সবাইকে নিতে হবে। দেশে বিদেশে বাংলাদেশের অর্জনের কথাও বলতে হবে, শুধু ঘাটতির কথা নয়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) যে শ্লোগান ‘নো ওয়ান লেফট বিহাইন্ড’ কথাটা বলা হয়, তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং তা কার্যকর করতে কাউকে পিছিয়ে নয়, সবাইকে নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার কমিশন’ বা ‘মাইনরিটি রাইটস কমিশন’ গঠন ও বাস্তবায়ন করার জন্য দেশের সাধারণ মানুষকে যেমন দাবি জানাতে ও এ্যাডভোকেসি করতে হবে, তেমনি ‘বর্ণবৈষম্য নিরোধ আইন’ কার্যকর করার জন্যও সম্মিলিতভাবে দাবি জানাতে হবে।

আজ (১৩ ডিসেম্বর) সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-এমজেএফ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব বলেন। এমজেএফ-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, সুইডেনের এম্বাসেডর আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, সুইজারল্যান্ডের এম্বাসেডর নাতালি চুয়ার্ড এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে. এম. তারিকুল ইসলাম। সম্মেলনে সংহতি প্রকাশ করেন সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় ৫’শ মানুষের অংশগ্রহণে এই মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগত তৃণমূল পর্যায়ের মানবাধিকার কর্মীরা জানান, তারা কিভাবে সমাজের বৈষম্য, নিপীড়ণ, নির্যাতনসহ সবধরণের মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার উপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মানবাধিকার ও সুশাসন নিয়ে কর্মরত সংস্থা হিসেবে এমজেএফ প্রতিবছরের মতো এবারেও দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।

উল্লেখ্য,মানবাধিকারের ভিত্তিতে বিশ্বে সব মানুষের মর্যাদা সমান। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাতি, গোষ্ঠী ভেদে মানুষে মানুষে নেই কোন ভেদাভেদ। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর সকল মানুষের জন্য মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা গৃহীত হয়। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৯৫০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১০ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।