মূল পাতা আন্তর্জাতিক টুইন টাওয়ারে হামলার ২০ বছর : নিজের খোঁড়া গর্তে যুক্তরাষ্ট্র
রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক 11 September, 2021 12:11 PM
যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার ২০তম বার্ষিকী আজ। সেই ভয়াল ৯/১১। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় 'সন্ত্রাসী' হামলার ২০তম বার্ষিকী। ২০০১ সালের এই দিনে 'সন্ত্রাসীরা' যাত্রীবাহী চারটি বিমান ছিনতাই করে একযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ও ভার্জিনিয়ার পেন্টাগনে হামলা চালায়।
এ হামলায় ২ হাজার ৯৯৬ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকও ছিলেন। এর প্রভাব পড়ে সারা বিশ্বের রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে। এ হামলার জন্য আলকায়েদাকে দায়ী করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
নাইন-ইলেভেনের ২০ বছর পূর্ণ হলো আজ। এ হামলার অজুহাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান, ইরাকসহ বিশ্বের দেশে দেশে অসম যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। এর জেরে লাখ লাখ মানুষ নিহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। নিহত হয়েছে কয়েক হাজার মার্কিন সেনাও।
একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমের উঠে এসেছে এই হামলার পর জড়িয়ে পড়া যুদ্ধে লাভ-ক্ষতির হিসাব। তাতে উল্লেখ করা হয়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তথাকথিত বৈশ্বিক যুদ্ধ, মধ্য এশিয়ার ছোট দেশ আফগানিস্তান ছাড়িয়ে ইরাকে পৌঁছে যায়, এমনকি আফ্রিকা পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ঘটে। ইরাকে এই সংঘাতে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ আমেরিকান সেনা সদস্য এবং লাখ লাখ বেসামরিক লোক প্রাণ হারান।
এরপর আফগানিস্তান ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক বছরে, বিশেষ করে ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পর আরও কয়েকটি দেশে যুদ্ধ করতে গেছে। আফগানিস্তান ছাড়াও সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়ায় চালানো সামরিক অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একদিকে ছিল ব্যয়বহুল, অন্যদিকে বহু আমেরিকান সৈন্যকেও এসব যুদ্ধে প্রাণ দিতে হয়েছে। শুধু আফগানিস্তান যুদ্ধেই দেশটির খরচ হয়েছে কয়েক হাজার কোটি ডলার। নিহত হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মার্কিন সৈন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির এক হিসাবে বলা হচ্ছে, ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পর আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তান ও সিরিয়াতে যুদ্ধ-বাবদ যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হয়েছে প্রায় ছয় ট্রিলিয়ান ডলার।
/জেআর/