ফিলিস্তিনে সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে আরব আমিরাত

অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর এবার ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ সহায়তা বিপুল পরিমাণে কমিয়ে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আমিরাতের এই ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। খবর আল-জাজিরার।

জানা গেছে, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সহায়তা সংস্থায় (ইউএনআরডব্লিউএ) আমিরাত ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রতিবছর ৫ কোটি ১৮ লাখ ডলার অনুদান দিলেও ২০২০ সালে তা বিপুল পরিমাণে কমিয়ে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র সামি মাসাশা জানান, ২০২১ আমিরাত মাত্র ১০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। তবে ২০২১ সালে আবারও আগের বছরগুলোর মতো অনুদান দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। জাতিসংঘের সংস্থায় বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি কাতারের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যাওয়া ৫৭ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে ইউএনআরডব্লিউএ। সংস্থাটির অন্যতম দাতা দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে আরব আমিরাত। তবে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে দেশটি। আর ওই বছরেই জাতিসংঘের সংস্থাটি বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে আমিরাত।

আরব আমিরাতের একের পর এক এ ধরনের পদক্ষেপে বিস্মিত মুসলিম বিশ্ব। সাধারণ ফিলিস্তিনিরা আরব আমিরাতের এসব পদক্ষেপকে মুসলিম জাতির সঙ্গে ‘গাদ্দারি বা বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে দেখছেন।
-জেড