10 May, 2020 05:30 PM
গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় মুসলিম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস চলাকালীন তিন ওয়াক্ত নামায অফিস নির্ধারিত নামাযকক্ষে জামাতের সঙ্গে পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। গত ফেব্রæয়ারি মাসের ১৬ তারিখ প্রভাবশালী একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বাংলা পোর্টালে নেতিবাচকভাবে এ খবরটি প্রথমে প্রকাশ করা হয়। এরপর ওই খবরটিকে অনুসরণ করে আরো বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মচারীদের জন্য নামায কেন বাধ্যতামূলক করা হলÑ এমন একটি প্রশ্নবোধক ভঙ্গি নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়।
দেখা গেছে, মুসলিম কর্মচারীদের জন্য অফিস কর্তৃক কার্যসময়ের মধ্যে নামাযের এই ব্যবস্থাপনার উদ্যোগকে ‘বাধ্যতামূলক’ ভাষা দেওয়া এবং এজাতীয় বাধ্যতামূলক করাকে ‘দেশীয় আইন ও সংবিধান-বিরোধী’ বলার চেষ্টাও করা হয়েছে। তৈরি করা পরিস্থিতির চাপ অনুভব করে এক দিন পর ওই পোশাক কারখানা কর্মচারীদের জামাতে নামায পড়া বিষয়ক নোটিশটি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়।
ইসলামের অন্যতম প্রধান রুকনÑনামায পড়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনার বিষয়টিকে ‘আইন ও সংবিধান-বিরোধী’ বলে আক্রমণ করা এবং পরবর্তী সময়ে এ ধরনের কল্যাণকর উদ্যোগ থেকে একটি কারখানাকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য করার মতো এ বিষয়টি নিয়ে এখানে কয়েকটি কথা পেশ করার চেষ্টা করব। প্রথমে আমরা দেখতে চেষ্টা করবÑ কথায় কথায় কোনো একটি বিষয়কে সংবিধান-বিরোধী বলার যে বাছবিচারহীন একটি প্রবণতা দেশের বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের মুখে উচ্চারিত হতে দেখা যায়Ñ এর প্রকৃত রূপটি আসলে কী? জরুরি ধর্মীয় ইবাদতের বিষয়ে মুসলিমদের জন্য কোনো নির্দেশনা জারির ঘটনা কি আসলেই সংবিধান-বিরোধী? নাকি এজাতীয় দাবি ও উচ্চারণই বাস্তবতা ও যুক্তির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ? এরপর এ বিষয়ের সংশ্লিষ্ট আরো কয়েকটি কথা তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ।