রহমত নিউজ 13 February, 2025 07:20 PM
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, অভ্যুত্থানের ছ’মাস পার হলেও অবশেষে আয়নাঘরে নির্যাতনের কিছু বিভৎস-রোমহর্ষক চিত্র জাতি দেখতে পেয়েছে। এই ধরণের নির্মম নির্যাতন সেলের অস্তিত্ব আনুষ্ঠানিক স্বীকারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। এখন সারাদেশে অবশিষ্ট আয়নাঘরগুলো খুঁজে বের করে অবিলম্বে গণমাধ্যমে প্রদর্শণের আহ্বান জানাচ্ছি। পৃথিবীবাসী জানুক পতিত খুনী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা মানুষকে গুম করে কিভাবে নির্মম নির্যাতন চালাতো। এমন ফ্যাসিস্ট শাসক বাংলাদেশে যাতে আর কোনদিন প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনকারীদেরকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। প্রশাসন ও বিভিন্ন বাহিনীতে আয়নাঘরের কুশীলবরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়ে গেছে। এ কুশীলবদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় খেলাফত মজলিস।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উস্কানি এখনো বন্ধ হয়নি। ভারতের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যতদিন জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হবে, ততদিন আওয়ামীলীগের কোন তৎপরতা জনগণ সহ্য করবে না। হাজার হাজার নিরপরাধ ছাত্র-জনতাকে হত্যা, শত শত মানুষকে অন্ধ ও পঙ্গু করেও দাম্ভিকতা প্রদর্শণ করে যাচ্ছে খুনীরা। এদের অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। এই অপশক্তি দ্বারা দেশকে অস্থিতিশীল করার আর কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে আমাদেরকে জাতীয় ঐক্যে গড়ে তুলতে হবে। এ উপলক্ষে খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে আন্তদলীয় সংলাপ চলমান রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতিতেও দেশপ্রেমিক সকল সংগঠনকে উপররোক্ত দুই বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সরকারের প্রতি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দাবি জানাচ্ছি। আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে কার্যকর উদ্যোগ কামনা করছি।
নির্বাহী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ¦ আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, জিল্লুর রহমান, আলহাজ¦ নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, আমির আলী হাওলাদার, এডভোকেট মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।