শেখ আশরাফুল ইসলাম 09 November, 2024 12:51 PM
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই প্রকৃতিতে দেখা দিয়েছে শীতের আলামত। পড়তে শুরু করেছে কুয়াশা। গ্রাম-গঞ্জের দোকানে চলছে লেপ-তোশক তৈরির ব্যস্ততা। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে, গাছ থেকে পাতা ঝরছে। ঝরছে শিউলি ফুলও। ইতোমধ্যে আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, ডিসেম্বরের ২০ তারিখের পর শীত পড়বে রাজধানীতেও।
সকালে জানালা খুললেই মৃদু কুয়াশার দেখা মিলছে। ফজরের নামাজ আদায়ের পর হিমেল পরশ গায়ে মেখে কাজে মেতে উঠেছে মানুষজন। ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত আর হরেক পদের তরকারিতে চলছে সকালের আতিথেয়তা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। ফুটপাতে বসেছে মুখরোচক পিঠাপুলির পসরা। পাশাপাশি শীতকালীন টাটকা সবজিও মিলছে রাজধানীর বাজারগুলোতে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দেশে ৮ থেকে ১০টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।
এছাড়া আগামী তিন মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে। একইসময়ে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তরপশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে। এতে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দেশে ৮ থেকে ১০টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে তিনটি তীব্র শৈত্য প্রবাহে রুপ নিতে পারে।