রহমত নিউজ 23 October, 2024 10:49 AM
গ্যাস ব্যবহার করলেও তার বিল পরিশোধের আগ্রহ নাই অনেকের। তবে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর এই প্রতিষ্ঠানের ভেতরে বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার পরেই রয়েছে সার কারখানা। সবার কাছ থেকে অনাদায়ী গ্যাস বিলের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) জ্বালানি খাতের রিপোর্টারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে গ্যাস বিল বাবদ পাওনা ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর সরকারি সার কারখানায় গ্যাস বিল পাওনা ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। বর্তমানে আবাসিক, শিল্প, বাণিজ্যিক খাতের বিল দিয়েই সব খরচ চালানো হচ্ছে। শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বেশি, পাওনা আদায়ের হারও বেশি।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, সরকারি সংস্থার কাছ থেকে বকেয়া বিল আদায়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করছে পেট্রোবাংলা। শিল্প খাতে বর্তমানে ৩৫৪টি নতুন সংযোগের আবেদন জমা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পরামর্শে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আবাসিকে নতুন করে সংযোগ চালুর বিষয়ে সরকারের এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
বিবিয়ানায় গ্যাস উৎপাদন কমার বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, গ্যাস ব্যবহার করতে থাকলে মজুত কমবেই। বিবিয়ানায় কমলে যে ঘাটতি তৈরি হবে, তা মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে ৫০টি কূপ খনন করা হচ্ছে, ১০০টি কূপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে ও স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দিয়েছে সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান খান, মো. রফিকুল ইসলামসহ অনেকে।