রহমত নিউজ 07 September, 2024 03:42 PM
নেট দুনিয়ায় নতুন করে আলোচনা উঠেছে নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে। নেটিজেনদের দাবি, বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রপ্রীতি বেশ চর্বিতচর্বণ রূপে দেখা যায়। সেই সাথে দাবি ওঠেছে রবীন্দ্রের লেখা জাতীয় সংগীত পরিবর্তনেরও।
জাতীয় সংগীতের রচয়িতা একজন ভারতীয়, জাতীয় সংগীতে “বাংলাদেশ” কথাটি উল্লেখ নেই, লেখকের উদ্দেশ্য ‘বঙ্গমাতাকে’ কেন্দ্র করে সংগীত তৈরি করা হয়েছিল; এমন অনেক দাবি নিয়েই নেটিজেনরা সরব হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আবার অনেকেই মনে করেন, এটি একটি শ্যামা সংগীত। তাছাড়া যেই কবি আমাদের এই মাতৃভূমির বিরোধীতা করেছে, তার লেখা আমাদের জাতীয় সংগীত হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।
এসব বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যেই এবার রবীন্দ্রপ্রীতি নিয়ে ফেসবুকে লিখলেন লেখক ও গবেষক মুসা আল হাফিজ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন রবীন্দ্রনাথ আমাদের কে?
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) তিনি তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, “জুলাই বিপ্লব হলো। কাজী নজরুল ইসলাম মিছিল দিলেন। গান গাইলেন। প্রলয় বিষাণ বাজালেন। নূতনের কেতন উড়িয়ে জয়ধ্বনি করলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিপ্লবের কোথাও ছিলেন? মুক্তির মিছিলে ছিলেন? রক্তদানের প্রেরণায় ছিলেন? শিকল ভাঙার শপথে ছিলেন? ছিলেন না। এখন তিনি হাজির হচ্ছেন জীর্ণ- পুরনোকে জারি রাখার আবেগ হিসেবে। স্বৈরাচার যে চিন্তার স্বৈরাচার কায়েম করেছিলো,তার পুরোহিত হিসেবে।”
তিনি লিখেন, “কাজী নজরুল চব্বিশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাবেশ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চব্বিশে রোকেয়া প্রাচীর চেহারা কিংবা নাইমুল ইসলাম খানের আলাপ। জাতীয় সংগীতের আগের আলাপ হলো রবীন্দ্রনাথ স্বৈরাচারের বন্দুকের সঙ্গে থাকলেন, বুক পেতে দেওয়া তারুণ্যের সাথে থাকলেন না। ফলে এ প্রশ্ন অবধারিত যে, রবীন্দ্রনাথ আমাদের কে?”