রহমত নিউজ 01 September, 2024 05:48 PM
জনগণ অতীতের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে ফিরে যেতে চায় না। বিগত ১৬ বছরে যারা দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে, দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রচলন করে দেশকে ভয়াবহতার দিকে নিয়ে গেছে। সেই বিগত আওয়ামী রাজনীতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না জনগণ। মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্বের অবসান চায়। যদি কেউ প্রতিহিংসার রাজনীতি চর্চায় ফিরে যেতে চায় ছাত্র-জনতার পুনরায় তাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠবে। তিনি নব্য চাঁদাবাজ, দখলবাজ, অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের দমন করতে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত যৌথ অভিযান শুরু করার আহ্বান জানান।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, পরাশক্তি নতুনভাবে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছে, তাদের ব্যাপারে সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্ন্তীকালীন সরকারের সকল গঠনমূলক কাজে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে অভিমত দেন।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বন্যার্ত মানুষের সমস্যার সমাধান না হওা পর্যন্ত ত্রাণ তৎপরতা এবং সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন।
মুফতী রেজাউল করীম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্ন্তীকালীন সরকার যেহেতু একটি গণ-বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জনগণের অভিপ্রায়ে গঠিত হয়েছে এবং এই সরকারের পক্ষে যেহেতু রাজনৈতিক ঐকমত্য রয়েছে। অতএব দেশকে এবং দেশের রাজনীতিকে সঠিক ধারায় নিয়ে আসার ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার যদি প্রাপ্ত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ না করে তাহলে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তদান ব্যর্থ হবে।
সভায় সমমনা ও ইসলামী দলগুলোর সাথে আরো কীভাবে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করা যায় তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ হারুন অর রশিদ, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম,হাফেজ মাওলানা ফজলুল করীম মারূফ, আলহাজ আব্দুর রহমান, আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম, শায়খুল হাদীস মকবুল হোসাইন, হাজী মনির হোসেন, মাওলানা নূরুল ইসলাম আলআমিন, জিএম রুহুল আমীন, অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মাহুদুল হাসান, মাওলানা শোয়াইব হোসেন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ডা. দেলেয়ার হোসেন, আল- মুহাম্মদ ইকবাল।