| |
               

মূল পাতা জাতীয় মুখ খুলেছেন আবেদ আলী: প্রশ্নফাঁসে বিসিএস ক্যাডারদের তালিকা করা হচ্ছে


মুখ খুলেছেন আবেদ আলী: প্রশ্নফাঁসে বিসিএস ক্যাডারদের তালিকা করা হচ্ছে


রহমত নিউজ     10 July, 2024     04:02 PM    


বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জন গ্রেপ্তারের পর থেকেই বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। কীভাবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থেকে প্রশ্নফাঁস করতেন অভিযুক্তরা, কীভাবে হতো টাকা লেনদেন সবকিছুই উঠে আসছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে। এছাড়াও পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসছে একের পর এক নাম।  

গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবনদী দিয়েছেন সৈয়দ আবেদ আলী, খলিলুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম, আবু সুলেমান মো. সোহেল, মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাইম হোসেন, লিটন সরকার।

জানা গেছে, আদালতে মুখ খুলেছেন সাবেক পিএসসি চেয়ারম্যানের ড্রাইভার আলোচিত সৈয়দ আবেদ আলী জীবন। তিনি স্বীকারোক্তিতে প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সব কিছুই বলে দিয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই এখন ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে বিভিন্ন ব্যাচ থেকে ক্যাডার (প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা) হওয়াদের নামের তালিকা তৈরি করছে একটি সংস্থা। কাউকে এরইমধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে নজরদারিতে।

তবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না তদন্তসংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিমেল চাকমা বলেন, ‘এখনই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। ’

তবে তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার কয়েকটি ব্যাচের এমন অনেকে আছেন, যারা এই চক্রের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের উত্তর পেয়ে ক্যাডার হয়েছেন। চক্রটির গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

এদিকে, ১৭ জন গ্রেপ্তার হলেও প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত আরও ১৪ জন পলাতক আছেন। তাদের ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছে সিআইডি। তবে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করেও হদিস মিলছে না। পলাতক সেই আসামিরা হলেন নিখিল চন্দ্র রায়, মো. শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া, দীপক বণিক, মো. খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, এ কে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, মো. গোলাম হামিদুর রহমান, মুহা. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এটিএম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ।

পলাতকদের ব্যাপারে সিআইডির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় অনেক সন্দেহভাজন গা-ঢাকা দিয়েছেন। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করেও তাদের অবস্থানের খোঁজ মিলছে না। ’