রহমত নিউজ 20 May, 2024 04:42 PM
আওয়ামী লীগ আলেম ওলামাদের ব্যবহার করেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ । তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসরেরা মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে রাজনীতি করে, কিন্তু আলেম-ওলামাদের জন্য তারা কিছু করেনি। শুধু আলেম-ওলামাদের ব্যবহার করেছে। আওয়ামী লীগ আলেম-ওলামাদের ব্যবহার করে না, বরং তাদের জন্য কাজ করে। ইসরাইল যে ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ নারী-শিশু হত্যা করছে, এর বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত একটা শব্দও বলেনি। এরা ইসরাইলের দোসরে রূপান্তরিত হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ আলেম-ওলামাদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দেশে আলেম-ওলামাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন, বঙ্গবন্ধুর পর আর কোনো সরকার তা করেনি। বায়তুল মোকাররম মসজিদের কোনো মিনার ছিল না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ’৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর তিনি মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পাশাপাশি কাজও শুরু করেন। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর সাত বছরে সেই মিনার নির্মাণ হয়নি। পরে আবারও ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর সেই মিনার নির্মিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আলেম-ওলামারা দাবি করেননি, তারপরও বাংলাদেশে ১ লাখ ২০ হাজার মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে করেছেন। প্রতিটি মক্তবে একেকজন আলেম ৫ হাজার ২শ’ টাকা করে ভাতা পান। এর বাইরেও প্রতিটি উপজেলায় আরেকটি প্রজেক্টের মাধ্যমে মসজিদভিত্তিক মাদরাসা স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে শিক্ষকরা সাড়ে ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পান।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ প্রতিটি জেলায়-উপজেলায় যে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে- এমন দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ভেতরে-বাইরে থেকে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। পৃথিবীর কোনো দেশে সরকারি উদ্যোগে এত মসজিদ একসঙ্গে হয়েছে কি না আমার জানা নেই।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ দেশে আলেম-ওলামাদের দাবি ছিল- একটি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রিটিশের পর পাকিস্তান হলো, পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হলো, বঙ্গবন্ধুকে সাড়ে ৩ বছরের মাথায় হত্যা করা হলো, কেউ এই দাবি পূরণ করেনি। জিয়াউর রহমান আলেম-ওলামাদের পাশে বসিয়ে এই দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছিল, এরশাদ সাহেবও আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মসজিদভিত্তিক মাদরাসা ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় দুটোই করা হবে। কিন্তু কেউ দাবি পূরণ করেনি।