রহমত নিউজ 05 March, 2024 06:44 PM
শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্য বিকৃত করা হচ্ছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে আমি ইসকন নামের একটি সংগঠনের সদস্য এবং ইসকনের সদস্য হয়ে আমি ভিন্ন সংস্কৃতি শিক্ষাক্রমে ঢোকানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত আছি। আমার বক্তব্য হচ্ছে এটা একেবারে আপত্তিকর, মানহানিকর এবং ষড়যন্ত্রমূলক। আমি ইসকনের সদস্য নই। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আমি একজন অসাম্প্রদায়িদক মানুষ হিসেবে আমার বাবা বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের তীর্থ কেন্দ্রে, পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইসকনের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়া মানে এই নয় যে আমি ইসকনের সদস্য। ইসকনের সদস্য হিসেবে আমাকে প্রচার করা হচ্ছে, আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যারা এই কথা বলছে, গুজব রটাচ্ছে তারা বিগত জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পাত্তা না দিয়ে নির্বাচন বিরোধী প্রচারণা করতে চেয়েছিল।
এ সময় গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে কওমি মাদরাসা নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই বক্তব্য কয়েকটি গণমাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয় বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের থেকে একটি জেলা থেকে একটি আলোচনা এসেছিল যে অনিবন্ধিত নাম-পরিচয়হীন কিছু প্রতিষ্ঠান নূরানী মাদরাসা হিসেবে গড়ে উঠছে। সেগুলো নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি মন্তব্য করেছিলাম যে, যেসব নূরানী মাদরাসা গড়ে উঠছে সেগুলো যদি কওমি মাদরাসার বোর্ড থেকে নিবন্ধিত হয়ে থাকলে তাদের সঙ্গে কাজ করে, যথাযথ নিবন্ধন তাদের কাছে আছে কি না, সেগুলোতে কীভাবে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সেটা কীভাবে আমাদের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় সে ধরনের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো, কীভাবে সেটা ইউনিফরমিটির মধ্যে আনা যায়।
তিনি বলেন, আমরা বারবার বলছি, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, অবশ্যই থাকবে। কারণ আমরা আইন দ্বারা সেই কওমি মাদরাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের সম্মান দিয়েছেন। সেই মর্যাদাকে আমরা অক্ষুণ্ন রেখেছি। আইন দ্বারা স্বীকৃত সেই মর্যাদা। কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু সেখানকার শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, তারা যাতে কর্মসংস্থান পায়, সেসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য এই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছি।