রহমত নিউজ 28 February, 2024 07:55 PM
ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় ফেনীতে এক সহকারী অধ্যাপককে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ছাগলনাইয়া উপজেলার আবদুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানুল হক নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে মানবধর্মে যোগ দিবো’ এই শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন।
৫০ লাইনের ওই স্ট্যাটাসের শেষভাগে তিনি লিখেছিলেন, ‘ইসলাম ধর্ম একটি সন্ত্রাসী ধর্ম’ । অপর লাইনে লেখেন, ‘ধর্মের ভুল ধরলে শুধুমাত্র এদেশে চাপাতি নাও, দা নাও, ছুরি নাও, মানুষ হত্যা কর’।
শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, ‘সকলে আদম-হাওয়া থেকে এসেছে, তবুও কেন এত বিভেদ’।
এ পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ফুঁসে ওঠে ওই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পরে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত শিক্ষক কলেজে আসছেন এ খবর শুনে ওই কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণের শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে তার শাস্তির দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলাম ধর্ম অবমাননাকারী শিক্ষককে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেবেন না তারা।
পরবর্তীতে কলেজের অধ্যক্ষ বিক্ষোভকারীদের কাছে গিয়ে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হক বলেন, মুঠোফোনটি বাসায় রেখে গেলে কে বা কারা আমার আইডি থেকে আপত্তিকর একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দেয়। আমার নজরে পড়লে আমি স্ট্যাটাসটি ডিলিট করে দিই।
কলেজের অধ্যক্ষ ড. মহাম্মাদ মহাতাব উদ্দিন প্রামাণিক জানান, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের আলোকে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হককে কলেজে অবাঞ্ছিত, কলেজ আঙিনায় প্রবেশ নিষেধসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কলেজের সভাপতি ও ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, অভিযোগ জানার পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।