| |
               

মূল পাতা জাতীয় বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত


বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত


রহমত নিউজ     02 February, 2024     02:24 PM    


বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টা ৪৭ মিনিটে বাংলাদেশের তাবলীগের মুরব্বী মাওলানা জুবায়ের আহমদের ইমামতে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

গত বুধবার থেকেই আল্লাহর জিকিরের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে যেনো পুণ্যময় নগরীতে পরিণত হয়েছে পুরো টঙ্গী শহর। ইজতেমা ময়দানের চারপাশে কেবল সাদা টুপি আর পাঞ্জাবি। 

আজ শুক্রবার ফজরের পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও একদিন আগেই ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকেই শুরু হয়ে যায় তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বিদের বয়ান। এরপর আজ ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে  শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার ৫৭ তম আসরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এ দিন অনুষ্ঠিত হয় দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজের জামাত। এ জামাতে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মুসল্লিরা ভিড় করেন ইজতেমা ময়দানে। জুমার নামাজের সময় যত ঘনিয়ে আসছিল, টঙ্গীর তুরাগতীর ও আশপাশে মুসল্লিদের মধ্যে ছোটাছুটি তত বাড়ছিল। কারও হাতে জায়নামাজ, কারও হাতে পাটি, কারও হাতে চটের বস্তা আবার কারও হাতে খবরের কাগজ। এর মধ্যে হঠাৎ মাইকে ভেসে এল নামাজের ইকামাত। মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে গেল সব ছোটাছুটি। যে যেখানে ছিলেন, বিছানা পেতে দাঁড়িয়ে পড়লেন নামাজে। মুসল্লিদের জুমার নামাজের জামাতে অংশগ্রণের মাধ্যামে নীরবতা নেমে এল পুরো এলাকায়। অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের জামাত।

এদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ময়দান ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ছয় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহনীর সদস্য থাকবেন। ইজতেমা ময়দানের সব প্রবেশ পথে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। ময়দানে আসা মুসল্লিদের সেবায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন। পুলিশের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে যেন কোনো নাশকতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।