| |
               

মূল পাতা জাতীয় পোশাকশ্রমিকদের ওপর নিপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে সিসিসি


পোশাকশ্রমিকদের ওপর নিপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে সিসিসি


রহমত নিউজ ডেস্ক     02 November, 2023     09:30 AM    


বাংলাদেশে বাড়তি মজুরির দাবিতে আন্দোলনরত পোশাকশ্রমিকদের ওপর নিপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক ইউনিয়ন ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের আন্তর্জাতিক জোট ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন (সিসিসি)। একই সঙ্গে শ্রমিকদের প্রতিবাদ করার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিসিসি।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিসিসি তাদের এ অবস্থানের কথা জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে সিসিসি বলেছে, বাংলাদেশে ২৩ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে পোশাকশ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানানোর সময় রাসেল হাওলাদার নামের এক পোশাকশ্রমিক গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে যাঁরা শোক জানাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। চলতি বছর মজুরি নির্ধারণ প্রক্রিয়া চলাকালীন শ্রমিক দমন অভূতপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছে ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন। সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশে পোশাকশ্রমিকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের দাবি আদায়ে নেমেছেন।  তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নতুন ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে, যা শ্রমিকপক্ষের (ট্রেড ইউনিয়ন) দাবির অর্ধেকের কম। তৈরি পোশাকমালিকদের এমন প্রস্তাব ‘বেদনাদায়ক’। মূলত এমন প্রস্তাবের সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্তমান অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

সিসিসি জানিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় শ্রমিকদের একটা পরিবার চালানোর মতো ন্যূনতম বেতন প্রয়োজন। অন্যদিকে মজুরি সংশোধন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসের অভাব রয়েছে। এই দুটি বিষয়ের পরিণতি হিসেবে চলমান শ্রমিক বিক্ষোভকে দেখা যেতে পারে। পাঁচ বছর আগে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের সময় বাংলাদেশে প্রতিবাদী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এ বছরও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা রয়েছে।বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ করার অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন বলেছে, অবিলম্বে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত সহিংসতা ও বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিকরণ বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।অন্যদিকে সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য কেনা ব্র্যান্ডগুলোর দায়ও রয়েছে। অনেক বলার পরও এসব ব্র্যান্ডগুলো শ্রমিকদের ২৩ হাজার টাকা দাবির পক্ষে কোনো বিবৃতি দেয়নি।