রহমত নিউজ 24 October, 2023 03:36 PM
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। ঘূণিঝড়টি আজ (মঙ্গলবার) রাত ১০টা থেকে আগামীকাল (বুধবার) কাল ১০টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের ক্ষেত্রে ১০টি জেলাকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করছি। আজ রাত ৮টার মধ্যে দূর্গত এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়টি আজ রাত ১০টা থেকে আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে রক্ষা করতে ১০টি জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ/ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ায় প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বাস্তবায়ন বোর্ডের এ জরুরি সভা ডাকা হয়।
বাংলাদেশের দিকে প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। সে কারণে ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় অঞ্চলের ১০টি জেলার মানুষদের আজ (মঙ্গলবার) রাত আটটার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার নির্দেশনা দিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল (সোমবার) নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় হামুনে পরিণত হয়েছে। এটি চট্টগ্রাম এবং বরিশালের দিকে উত্তরপূর্ব অভিমুখে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। বর্তমানে এটি পায়রা বন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে। এর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর সাত নম্বর বিপৎসংকেত দিয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে দুটি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া আছে, এই মুহূর্ত থেকে আমাদের মাঠ প্রশাসনের এবং স্বেচ্ছাসেবকরা দুর্গত এলাকার লোকদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে শুরু করবে।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ, গতিবেগ ও চরিত্র বিশ্লেষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজ রাত ১০টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে এটি উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করবে। সে জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, রাত আটটার মধ্যে যেন আশ্রয়কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের নিয়ে যাওয়া হয়। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছি। আমাদের মাঠপ্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা সেখানে কাজ করছেন। সেখানে রান্না করা খাবার, সুপেয় পানি, শিশুদের খাবার এবং গো-খাদ্য দেওয়ার জন্য আমরা এরইমধ্যে অর্থ বরাদ্দ করেছি। প্রতি জেলায় ২০ লাখ টাকা এবং ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক কোটি টাকার গোখাদ্য এবং সমপরিমাণ টাকা শিশুখাদ্যের জন্য দেওয়া হয়েছে।