রহমত নিউজ ডেস্ক 23 September, 2023 02:47 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সরকার দলীয় নেতারা আতঙ্কে রয়েছে, এটা কোনো আনন্দের সংবাদ নয়। যেই দেশ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, গণতন্ত্র-মানবাধিকারের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছে, সেই দেশে এখন গণতন্ত্র-স্বাধীনতা নেই। আপনারা (সরকার) বহু টাকা ইতোমধ্যে লুটপাট করেছেন। লক্ষ-হাজার কোটি টাকা আপনারা দেশ থেকে বিদেশে নিয়ে গেছেন। ভিসানীতির আওতায় যদি আপনি পড়ে যান, তাহলে আমেরিকায় যদি আপনার বাড়ি, টাকা থাকে, সেটা তো ভোগ করতে পারবেন না। আমি জানি আপনারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কিন্তু এই যে অন্যায় করেছেন, এর জন্য আমাদের লজ্জা হয়।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সু-চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে পাঠানো এবং আমান উল্লাহ আমান, সালাউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল আলম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিনসহ জাতীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ৫২ বছর বয়স বাংলাদেশের। এই ৫২ বছরে আমাদের অর্জন হচ্ছে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আর ভিসানীতি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা থাকা অবস্থায় ভিসানীতির কার্যকারিতা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই, মানুষের মানবাধিকার নেই, মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এখন ভিসানীতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, সরকারি দলের অনেক নেতা, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা এই ভিসানীতির আওতায় পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় এক-দুই দিন থাকার কথা। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এই পুরো মাস তিনি সেখানে থাকবেন। কেন, কিসের জন্য তিনি থাকবেন সেটি রাষ্ট্রীয়ভাবে ও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়নি। আবার শোনা যাচ্ছে তিনি অতি তাড়াতাড়ি চলে আসবেন। আসেন, দেশে দাঁড়িয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তাহলে কিছুটা হলেও রক্ষার পথ পাওয়া যাবে। মানুষ, দেশ, জনগণ চায় আপনি পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবেন। আর যদি না করেন, দেশের মানুষ আপনাদের বাধ্য করবে পদত্যাগ করতে। চারদিকের অবস্থা ভালো না, যে দিনই বিএনপি ও বিরোধী দল মিটিং ডাকে, সেদিন লাখ লাখ মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়। আন্দোলনের এখনো কিছু দেখেননি। সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবর আসবে। অক্টোবর হবে মুক্তির মাস, অক্টোবর হবে জালিমের পতনের মাস, অক্টোবর হবে স্বাধীনতা-মানবাধিকারের মাস। এই অক্টোবরেই সরকারের সঙ্গে দেনা-পাওনার সব কিছু মীমাংসা হয়ে যাবে।