‘চীনের দেয়ার অনেক কিছু আছে, আমাদেরও নেয়ার অনেক কিছু আছে’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা মনে করি, চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়টি বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, চীনের দেয়ার অনেক কিছু আছে, আমাদেরও নেয়ার অনেক কিছু আছে। 

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই)’ ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ চীন সিল্ক রোড ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন আয়েজিত চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফোরামের সভাপতি ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম, ঢাকায় চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালং, চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফয়েজ আহমেদ, বাংলাদেশ চীন সিল্ক রোড ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ বি এম খোরশেদ আলম। আলোচনা ছাড়া অতিথিরা চিত্র প্রদর্শনীও ঘুরে দেখেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সড়ক যোগাযোগ, রেল, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে, এ জন্য বিশ্বের সর্বত্র ঋণের জন্য যাচ্ছি। তবে ঋণের চেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রযুক্তি। কারণ, আমাদের প্রযুক্তির ঘাটতি টাকার চেয়ে বেশি। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীন অগ্রসর একটি রাষ্ট্র। সেখান থেকে শুধু পুঁজি নয়, অর্থ নয়, প্রযুক্তিও আনতে পারি। সেটা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে, স্বচ্ছতার মাধ্যমে আনতে পারছি। চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বহুমুখী, চীন কেন? কারণ, চীন এশীয় প্রতিবেশী। এটা এশিয়ার সময়, এটি মোটামুটি পরিষ্কার। এশিয়ার সময়টিতে অগ্রগামী ভূমিকায় চীন। এটা তারা পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করেছে। সুতরাং এশীয় প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। এখানে কারও প্রতি বিদ্বেষ বা পক্ষপাতমূলক কোনো বিষয় নয়।