রহমত নিউজ 07 September, 2023 09:34 PM
সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ্ব ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আগামী বছর হজ্যাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ২০২৩ সালের অযৌক্তিক বর্ধিত বিমান ভাড়া কমানোর জন্য বিমান প্রতিমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছে হজ্ব এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
চিঠিতে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিমান ভাড়ার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে ২০২৩ সালে নির্ধারিত ভাড়াকে একেবারে অযৌক্তিক দাবি করে যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের আবেদন জানানো হয়েছে এতে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) হাবের মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদার স্বাক্ষরিত চিঠিটি বিমান প্রতিমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়। অবগতি ও প্রয়োজনীয় কার্যার্থে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়।
চিঠিতে ২০২৪ সালের হজ্ব প্যাকেজ ঘোষণার জন্য হজ্বযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণের লক্ষে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সমন্বয়ে একটি সভা আয়োজনের জন্য বিমান মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। একইসঙ্গে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের মাধ্যমে হজ্বযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণে প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হাব।
চিঠিতে বলা হয়, ২০২২ সালে হজ্বযাত্রীদের বিমানভাড়া ১২ হাজার বৃদ্ধি করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল মূলত করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধে জেট ফুয়েলের মূল্যবৃদ্ধি এবং তখন করোনায় বিমানের কিছু আসন খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনার যুক্তি দেখিয়ে। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের প্রত্যাশা ছিল, করোনা-পরবর্তী বিমানভাড়া কমবে। কেননা জেট ফুয়েলের মূল্যবৃদ্ধি হয়নি। সৌদি আরব কোনও নতুন চার্জ আরোপ করেনি। ২০২৩ সালের বিমানের আসন খালি রেখে হজ্বযাত্রী পরিবহন করতে হয়নি। অথচ ২০২৩ সালের হজ্বযাত্রীদের বিমানভাড়া ২০২২ সাল থেকে ৫৭ হাজার ৭৯৭ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। এই বেশি মূল্যের বিমান ভাড়া এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ অযৌক্তিক ও অসহনীয় মনে করেছেন। এতে তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। তাই ২০২৪ সালের বিমানভাড়া নির্ধারণে উল্লেখিত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে ২০২৩ সালের বর্ধিত ভাড়া থেকে কমিয়ে যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।
২০২৪ সালের হজ্ব প্যাকেজ ঘোষণার নিমিত্তে হজ্বযাত্রীদের বিমানভাড়া নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সমন্বয়ে একটি সভা আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে চিঠিতে বলা হয়, সৌদি হজ্ব ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তাওফিক বিন ফাওজান আল রাবীয়া ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সফর করেছেন। সফরকালে তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে ২০২৪ সালের হজ্ব নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি উভয় অংশের হজ্ব প্যাকেজের মূল্য কমানোর লক্ষে উভয়পক্ষ দৃঢ় ঐক্যমত্য পোষণ করেন। বাংলাদেশ অংশে হজ্বের খরচের প্রায় সিংহভাগই বিমানভাড়া। সঙ্গত কারণেই হজ্বযাত্রীদের বিমানভাড়া কমিয়ে ২০২৪ সালের বিমানভাড়া সহনীয় ও যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা অত্যাবশ্যক মনে করে হাব।