| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইন-আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং-র‌্যাগিং প্রতিরোধে নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং-র‌্যাগিং প্রতিরোধে নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ


রহমত নিউজ     14 August, 2023     08:01 PM    


স্কুল, কলেজসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় বুলিং ও র‌্যাগিং (এক ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন) প্রতিরোধে এ সংক্রান্ত নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশনা এসেছে উচ্চ আদালত থেকে। এ লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত নীতিমালা তিন মাসের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো এবং ছয় মাসের মধ্যে নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুলিং ও র‌্যাগিং নিয়ে রিট আবেদনের ওপর দেওয়া রুল নিষ্পত্তি করে আজ (১৪ আগস্ট) সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।

২০২১ সালের ৮ জুলাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থুলকায় বলে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী সহপাঠী ও শিক্ষকদের লাঞ্ছনার শিকার হয়। পরে ১৬ বছরের ওই কিশোর অ্যানোরেক্সিয়া ও বুলিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

প্রতিবেদনটি যুক্ত করে বুলিং প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে ওই বছরের ১৬ আগস্ট একটি রিট আবেদন করা হয়। এতে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিংয়ের শিকার হয়ে অনেক শিক্ষার্থী মানসিক পীড়ায় ভোগে। কিন্তু এ থেকে প্রতিকার পেতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি। ফলে অনেক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তায় পড়ে।

পরে ২২ আগস্ট হাইকোর্ট বুলিং বা র‌্যাগিং প্রতিরোধে নীতিমালা কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দেয়।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনা নজরে আসার পর হাইকোর্ট স্বত:প্রণোদিত হয়ে বুলিং প্রতিরোধে রুলসহ নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেয়। এর ধারাবাহিকতায় এ সংক্রান্ত নীতিমালার খসরা হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়।

গত ২৯ জুন ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং র‌্যাগিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা- ২০২৩’ শীর্ষক নীতিমালার গেজেট প্রকাশ হয়। এর ধারাবাহিকতায় রুলের শুনানি শেষে এ রায় হলো।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা, অনিক আর হক ও তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

অ্যাডভোকেট আইনুন নাহার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী, র‌্যাগিং বা বুলিংয়ের ক্ষেত্রে দোষীদের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজন মনে করলে ফৌজদারি বিধান অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া যাবে। আদালত বলেছেন, শাস্তির বিষয়টি সুনির্দিষ্ট এবং স্পষ্ট রাখা উচিত ছিল। আমাদের যুক্তি ছিল, বুলিং নিয়ে তো এর আগে কিছুই ছিল না। এখন যেহেতু একটা আইন বা নীতিমালা হয়েছে সময়ের প্রয়োজনে সেখানে সংশোধন বা পরিমার্জন করা যাবে। আদালত ছয় মাসের মধ্যে এ নীতিমালা বস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।’