| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম হলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে : আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী


ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম হলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে : আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী


রহমত নিউজ     11 August, 2023     08:07 PM    


বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। মানুষের তৈরি শাসনব্যবস্থায় পরিপূর্ণ ন্যায়বিচার, সকল নাগরিকের প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি, জনগণের নিকট শাসকদের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা নেই। খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে খলীফাগণকে সাধারণ নাগরিকগণও প্রশ্ন করতে পারতেন। খলীফাগণ নিজেদেরকে জবাবদিহিতার জন্য বাধ্য মনে করতেন। কাজীর আদালতে খলীফাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা যেতো। এজন্য অভিযোগকারী কোন হয়রানির শিকার হতেন না। বাংলাদেশেও ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম হলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে, দূর্নীতি বন্ধ হবে, মামলা-মোকদ্দমার পরিমাণ কমে আসবে, খুন-রাহাজানি, সন্ত্রাস, মাদকের সয়লাব বন্ধ হবে, তরুণ ও যুবসমাজ অধ:পতনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। জনগণের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে কোন ধরনের আন্দোলন-সংগ্রামের প্রয়োজন হবে না।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকাল ৩ টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মতিঝিল-পল্টন থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা ও সুফল’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে মো: জাকির হোসাইনকে সভাপতি ও শাহীনুর আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট মতিঝিল থানা কমিটি ঘোষণা করা হয়।

খেলাফত আন্দোলনের মতিঝিল থানার সদ্য সাবেক আমীর মোফাচ্ছির হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দীন, তথ্য-গবেষণা সম্পাদক ও মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান কাসেমী, জমিয়ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজী, মহানগর বিচার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মাহফুজুর রহমান, শ্রম সম্পাদক মাওলানা জাফর আহমাদ, পল্টন থানা আহবায়ক মাওলানা আবুল হাসনাত, মুফতী রুহল আমীন, শাহীনুর আলম, শফিকুল ইসলাম, বোরহানউদ্দীন, মো: সাদ, আব্দুল কাদির জিলানী  প্রমূখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা হামিদী বলেন, ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হলে  নামায, যাকাত, সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধের বাস্তবায়ন তথা পরিপূর্ণভাবে ইসলাম পালন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে ইসলামী মূল্যবোধের তোয়াক্কা না করে বিনা ভোটে এমপি হওয়া, দিনের ভোট রাতে করার কুনজির স্থাপিত হওয়ায় বিদেশীরাও দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপের সুযোগ পাচ্ছে।  চলমান সংকট মোকাবেলায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মোফাচ্ছির হোসাইন বলেন, ইসলামী শাসন ব্যবস্থা মানবরচিত কোন ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলা কতৃক প্রদত্ত শাসনব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের জনগণ, শাসক কারো পক্ষেই স্বেচ্ছাচারী হওয়ার, জনগণের উপর রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অন্যায় বিধান, করের বোঝা চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় উন্নয়ন, সুশাসন আসেনা সেকুলারদের এই দাবি ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার ক্ষেত্রে মোটেও সঠিক নয়।