| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি এবারের লড়াই জীবন-মরণের লড়াই : মির্জা ফখরুল


এবারের লড়াই জীবন-মরণের লড়াই : মির্জা ফখরুল


রহমত নিউজ ডেস্ক     11 August, 2023     07:35 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে আর কোনো নির্বাচনী খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। জনগণ মাঠে নেমে এসেছে। পদত্যাগ না করলে রাজপথেই ফয়সালা হবে, আমাদের এবারের লড়াই জীবন-মরণের লড়াই। কোনো ভয়ভীতি, জেল-জুলুম, কারাগার আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করে জনগণের সরকার করতে সক্ষম হব।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর বিকেল পৌনে চারটায় মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে গণমিছিল শুরু হয়। হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিলে অংশ নেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মালিবাগের আবুল হোটেলের কাছে গিয়ে গণমিছিল শেষ হয়। তার আগে সুবাস্তু টাওয়ারের সামনের সড়কে এক পাশে একটি ট্রাকে মঞ্চ বানিয়ে নেতারা বক্তব্য দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এই গণমিছিল কেন? একটাই দাবি- শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের আর কোনো দাবি নেই। এক দফা এক দাবি। তারা মনে করেছে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মত এবারও একটা নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় টিকে যাবে। এটা কি বাংলার মানুষ হতে দেবে? আমরা কেউই হতে দেবো না। এদেশের মানুষ এখন একতাবদ্ধ হয়েছে। কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের একটাই দাবি এই অবৈধ সরকার-হাসিনা সরকার নিপাত যাক। এই সরকার অবৈধ সরকার। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, আমাদের পার্লামেন্টকে ধ্বংস করেছে, আমাদের প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে। তারা আমাদের বিচার বিভাগকেও ধ্বংস করেছে। এই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আমাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে কি আমাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে? যাবে না। আমাদের যতই কারাগারে ঢোকাও, যতই ওপর নির্যাতন, লাঠি চার্জ করো, টিয়ার গ্যাস মারো; জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে, শেখ হাসিনার পতন না ঘটিয়ে জনগণ ঘরে ফিরে যাবে না।

সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে মতো আবারো পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারার অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা মনে করেছে, এইভাবে ক্যারিকেচার করে ডিগবাজি খেয়ে খেয়ে চৌদ্দ আর আঠারোতে যে নির্বাচন করেছে, আবারও ওই নির্বাচন তেইশে ( ২০২৩) করে ক্ষমতায় যাবে। এ দেশের মানুষ যেতে দেবে? এই দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ; সব রাজনৈতিক দল; সব দেশপ্রেমী মানুষের একটাই আওয়াজ—সেই আওয়াজ হচ্ছে, এই অবৈধ ফ্যাসিবাদী হাসিনার সরকার নিপাত যাক, নিপাত যাক। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, এই আওয়ামী লীগের সরকার আমাদের সব অর্জনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। সংসদকে ধ্বংস করে দিয়েছে, প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে। সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে বিচার বিভাগকে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আমাদের শুধু জেল দেয়, কারাগারে পাঠায়।’ তাতে কি আন্দোলন বন্ধ করা যাচ্ছে, এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘যতই কারাগারে ঢোকাও, যত জেলে দাও, যতই নির্যাতন করো, যতই টিয়ার গ্যাস মারো, যতই লাঠিপেটা করো—এবার গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় না করে মানুষ ঘরে ফিরে যাবে না। সে জন্য শেখ হাসিনাকে সবার আগে পদত্যাগ করতে হবে, এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।