রহমত নিউজ 25 July, 2023 12:51 PM
দায়িত্ব দিলে সাত দিনের ভেতরে দেশের ডেঙ্গু অর্ধেক কমিয়ে দিতে পারবেন বলে মনে করছেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, হয়তো বা আমি এক কোটি মশারি মানুষকে কিনে দেবো। পাশাপাশি এক কোটি বেকার তরুণকে সাত দিনের জন্য ভলান্টিয়ার হিসেবে দায়িত্ব দিবো, যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে এবং সচেতনতা বাড়াবে। এই সবকিছু করতে হয়তো দুই হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। আর এর মাধ্যমে ৫০ ভাগ কাজ সাত দিনে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সরকার এভাবে চলে না। এমনকি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা লোকজনও এভাবে করতে পারবে না, যদি তারা এমনটা চায় তারপরও।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অফ দি রুরাল পুওর-ডরপ এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌথভাবে আয়োজিত ‘পানি, স্যানিটেশন ও জলবায়ু পরিবর্তনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এবং করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ডরপ নির্বাহী উপদেষ্টা মো. আজহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিডিসি বিভাগের সাবেক প্রধান কীটতত্ত্ববিদ মো. খলিলুর রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা) ডা. দাউদ আদনান প্রমুখ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিআইআইএসএস’র গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, যেকোনো বিষয়েরই সহজ সমাধান করা যায়। কিন্তু আমরা কেউই এটা করি না। বর্তমানে বাংলাদেশ ডেঙ্গুর রেড জোন অবস্থায় আছে। ডাক্তাররাও হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দুজন মেয়র কতটা সচেতন সেটা আসলে বলতে পারি না। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যখন ডেঙ্গু বেড়ে যায় তখন এক মেয়র বলেন, মশা অন্য সিটি থেকে আসছে। আর অন্য মেয়র বলেন, মশা তাদের এখানে নেই, অন্য জায়গা থেকে আসছে। তবে যৌথভাবে কীভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এই বিষয়ে কেউ কখনও নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করেন না। কথায় আছে—মশা মারতে কামান লাগে না। হয়তো বা কোনও একসময় মশা মারতে কামান লেগেছিল বলে এই প্রবাদ প্রচলিত আছে। আমি মনে করি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন আছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানেরও প্রয়োজন আছে। একই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের সমালোচনা সহ্য করে হলেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করা উচিত। তা না হলে এসি রুমে বসে কখনও দেশের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না।