মূল পাতা আন্তর্জাতিক কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে বাংলাদেশের নিন্দা
রহমত নিউজ ডেস্ক 22 July, 2023 11:01 AM
বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধকে অবমাননা করে কিছু দেশে প্রকাশ্যে পবিত্র কুরআনের কপি পোড়ানোর ঘটনায় ওআইসি গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) জাতিসংঘ সদর দফতরে সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে ওআইসি গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সাক্ষাৎকালে নিন্দা জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। স্থায়ী মিশন জানায়, বাংলাদেশের নেতৃত্বে উক্ত বৈঠকে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রের মধ্য থেকে মিশর, সৌদি আরব, মৌরিতানিয়া ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
ওআইসির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন যে, পবিত্র কুরআন পোড়ানোর এই ঘৃণ্য কাজটি শুধু বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকেই গভীরভাবে আঘাত করেনি, বরং এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং ব্যক্তি বিশ্বাসের নীতিরও পরিপন্থি। এ ধরনের ধর্মীয় বিদ্বেষের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা সহিংসতার জন্ম দিতে পারে এবং বিভিন্ন দেশে শান্তি ও নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রদূত মুহিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের কথা তুলে ধরেন যারা ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইসলামফোবিয়া, বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং পবিত্র কোরআন ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতীক অবমাননাসহ সকল ধরনের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা মোকাবিলায় জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রকে অনুরোধ করার আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘের মহাসচিব ওআইসি সদস্যদের সঙ্গে গভীর সংহতি প্রকাশ করেন এবং ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক এই জঘন্য ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। তিনি ওআইসি প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন যে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ধর্মবিরোধী ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্বব্যাপী চলমান প্রচেষ্টাকে জোরালোভাবে সমর্থন করার জন্য তিনি তার অবস্থান থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদূত মুহিতের নেতৃত্বে ওআইসির প্রতিনিধিরা গত ১৪ জুলাই সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরোসি এবং ২০ জুলাই নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত ডেম বারবারা উডওয়ার্ডের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকগুলোতে তারা একই ধরনের উদ্বেগ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন।