| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘শিক্ষাব্যবস্থাকে বাণিজ্যিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনে বিভক্ত করা হয়েছে’


‘শিক্ষাব্যবস্থাকে বাণিজ্যিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনে বিভক্ত করা হয়েছে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     16 July, 2023     08:02 AM    


সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, দেশের বিরাজমান বিশৃঙ্খল শিক্ষাব্যবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ড. কুদরাত–এ–খুদা শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা না গেলে জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করা সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে যে বাণিজ্যিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনে বিভক্ত করা হয়েছে, তা বন্ধ করতে হবে। দেশকে মুক্তিযুদ্ধের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হোন। দেশের রাজনীতি ১৯৭৫–এর পরবর্তী সময় থেকে বিপথে চলমান রয়েছে এবং পথ হারিয়েছে। জিয়াউর রহমান কলমের খোঁচায় সংবিধানকে সাম্প্রদায়িক ধারায় পরিবর্তন করেন। এখন সাম্প্রদায়িক শক্তি রাজনীতির নিয়ামক হয়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে পরাজিত সাম্প্রদায়িক শক্তির ছোবল থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীতে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে  সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, এস এম এ সবুর, রঞ্জিত কুমার সাহা। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাসেম। কর্মসূচি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির। সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও ৪০ জেলার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো বিদেশি শক্তির অযাচিত ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। দেশে আজ অপসংস্কৃতি ও দুর্বৃত্তায়নের প্রসার ঘটেছে। এ সময়ে সুবিধাবাদী শ্রেণি ধর্মের লেবাসে দেশের নিরীহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চাপ প্রয়োগ, লুণ্ঠন, নিপীড়ন, নির্যাতনে মেতে উঠেছে। আমরা সব নাগরিকের নিরাপদ বাংলাদেশ দেখতে চাই।’

সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রানা দাশগুপ্ত বলেন, দেশের এই অরাজকতাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য একটি গণজাগরণের দরকার। দেশের নীতি, আদর্শ ও শাসনব্যবস্থা ১৯৭২–এর সংবিধানের অনুকরণে হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।