মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন ‘কওমী মাদরাসাগুলো আদর্শ নাগরিক তৈরির কারখানা’
রহমত নিউজ ডেস্ক 11 July, 2023 12:18 AM
প্রত্যেক মুসলিম মা-বাবার উচিত নিজ সন্তানকে প্রকৃত মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলা। সন্তানকে ইলম- আমল,আদব- আখলাক শিক্ষা দেয়া অভিভাবকদের উপর নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব। আদর্শ সন্তান গঠনে অভিভাবকদের ভুমিকা অন্যতম। সন্তানদেরকে চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তুলতে হলে নিজেদেরকেও অপরাধমুক্ত জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। সন্তানদের লালন পালনে কোমল মনা ও সহনশীল হতে হবে, কঠোর মেজাজের হলে চলব না। তবে প্রয়োজনে শাসন সুলভ কঠোর হতে হবে। মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে হবে। সন্তানদেরকে দ্বীনদার বানাতে চাইলে নিজেদের ঘরে দ্বীনি পরিবেশ কায়েম করতে হবে। উস্তাদদের মনে কষ্ট দিয়ে বিনা কারনে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার ফলাফল ভাল হয় না।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) মঙ্গলবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সম্মেলন বক্তাগন এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান শেষে বিগত বছর বার্ষিক পরীক্ষায় ছাত্র ও বিগত ঈদুল আযহা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে উত্তীর্ণদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মাওলানা মামুনুর রশিদ সাহেবের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জামিয়ার শায়খুল হাদীস মাওলানা শেখ আজিমুদ্দিন, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা সাঈদুর রহমান, শিক্ষাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা ইলিয়াস মাদারীপুরী, মাওলানা মাহবুবুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন জামিয়ার শায়খুল হাদীস মাওলানা হাজী ফারুক আহমাদ, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা মুফিজুর রহমান,মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা মুয়াজ্জম হুসাইন ফারুকী, মাওলানা আ স ম আকরাম হোসাইন,মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা আবুল হাসান কাসেমী, মাওলানা জসিম উদদীন প্রমুখ।
বক্তাগণ আরো বলেন, সকল নিয়ামতের অন্যতম নিয়ামত হলো সন্তান। এই নিয়ামতকেও আল্লাহর নির্দেশনা অনু্যায়ী পরিচালিত করতে হবে। কারন প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, আর প্রত্যেককেই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন তাকেই দ্বীনের ছহীহ সমজ দান করেন। আল্লাহ তায়ালা যাদের সন্তানকে দ্বীনের পথে কবুল করেছেন আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করা উচিত। নিয়্যাতকে শুদ্ধ করতে হবে। দুনিয়া লাভের আশায় দ্বীন শিখা বা শিখানো জাহান্নামে যাওয়ার কারন হবে। সত্যিকারের ওয়ারিশে আম্বিয়া বানানোর লক্ষ্যে সন্তানকে মাদরাসায় পড়াতে হবে। হযরত সাহাবায়ে কেরামের মূর্তপ্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মানুষকে জাহান্নামের পথ থেকে ফিরিয়ে জান্নাতের দিকে আহবান করতে সত্যিকারের দাঈ হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হতে হবে। নিজ সন্তানের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করতে হবে। সর্বদা হালাল উপার্জন করতে হবে হালাল কামাই দিয়ে সন্তানদের লালন পালন করতে হবে। তাছাড়া ছাত্রদের লেখাপড়ার উন্নতির লক্ষ্যে তাদের উস্তাদদের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট লেনদেন যথা সম্ভব নিজ জিম্মায় সম্পন্ন করতে হবে। সন্তানকে যেকোন উস্তাদের জিম্মায় রেখে যেতে হবে। তাহলেি ওস্তাদের পরামর্শ মুতাবেক জীবন পরিচালনা করে নিজেকে যোগ্য ছাত্র হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।