রহমত নিউজ 17 June, 2023 08:11 PM
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেছেন, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির প্রধান দুই দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ভিসা নীতি নিয়ে নানা প্রকার ব্যাখ্যা দিচ্ছে। সরকারী দল ভিসানীতির বিরুদ্ধে সুষ্পষ্টভাবে অবস্থান না নিলেও পরোক্ষভাবে আর্ন্তজাতিক শক্তির নির্বাচন কেন্দ্রীক বড় ধরণের চাপ হিসেবে মনে করছে। সরকার শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বোঝাপড়া করে তাদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে দেশের মানুষ মনে করে। কারণ অল্প কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা সফর করে চেষ্টা করেছেন কুটনৈতিকভাবে তাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে। অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরকার তেমন সাড়া না পেয়ে আরেক পরাশক্তি চায়নার দিকে মনোনিবেশ করছে। মার্কিন ভিসানীতির বিপক্ষে সরকার সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলেও চায়নার মাধ্যমে ইতোমধ্যে একটি শক্তিশালী স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। এ স্টেটমেন্টের পর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের বাহিরে চায়না বলকের একটি শক্তিশালী জোটের দিকে অংশ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। মুূলত সরকার চায়নার পক্ষে কথা বলছে আর বিরোধী দল ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সূরে কথা বলছে। এতে বাংলাদেশে ইউক্রেনের মতো চায়না রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বলকের একটি সুস্পষ্ট খেলা দৃশ্যমান মনে হচ্ছে। দেশের মানুুুুুুুুুষ এ খেলা দেখে সংকিত হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পরাশক্তি পরস্পর এমন যুদ্ধাংদেহি অবস্থা দেশের মানুষের জাতীয় জীবনে দুর্দিন ডেকে আনতে পারে।
আজ (১৭ জুন) শনিবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক উপ কমিটির বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুরানা পল্টনস্থ দারুল খিলাফাহ মিলনায়তনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, নির্বাহী সদস্য মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা আব্দুস সোবহান প্রমুখ।
মাওলানা ইউসুফ আশরাফ আরও বলেন, ক্ষমতাশীল সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন হয় না এটা একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। সুতরাং সরকার এবং বিরোধী দল আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গড়ে তুলতে হবে তাহলে বহিরশক্তি আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ পাবে না। সরকার ও বিরোধী দলের কঠোর অবস্থানের কারণে তৃতীয় শক্তি হিসেবে বহিরশক্তি বাংলাদেশ নিয়ে নানারকম মন্তব্য বক্তব্য ও মতামত এবং ভবিষ্যতে নানারকমের নিষেধাজ্ঞাা আসতে পারে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ একটি জোট নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে বিশ্ব শক্তির সাথে সমানতালে বন্ধুত্ব বজায় রেখে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে এবং এটাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত কুটনৈতিক অবস্থান। সম্প্রতি এ অবস্থান একেকটি বলকের মধ্যে বিভক্ত হচ্ছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। জনগণ মনে করে এ ধরণের বিভক্তি আমাদের দেশের জন্য ক্ষতি কারণ হবে।
তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সরকারেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় দেশের মানুষ সরকারের একপেশি মনোভাবের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।