‘মোখা’কে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গারা যেন ছড়িয়ে না পড়ে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গারা যেন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে রোহিঙ্গারা যাতে কাঁটাতারের বেড়া ক্রস করে বের হতে না পারে এ জন্য এপিবিএনসহ সকল আইনশৃঙ্খলা সংস্থাকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা যদি মিয়ানমারের বদলে বাংলাদেশ অংশে আঘাত হানে, তখন রোহিঙ্গাদের সরকারীভাবে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হবে। মোখা মোকাবেলায় সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে, সেন্টমার্টিন থেকে প্রায় সব মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সেন্ট মার্টিনে কী পরিমাণ ঝড় হবে তা ওই এলাকার বাসিন্দাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে সচেতন ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় মানুষকে সহায়তা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ (১৩ মে) শনিবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে  তেজগাঁও মহিলা  কলেজের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বশেষ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টা ১৯০ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসছে। রোববার (১৪ মে) দুপুর ৩টা থেকে ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। আঘাত হানার পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা উপকূলীয় অঞ্চলে এর প্রভাব থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত ১৫ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিবেগ আরও বাড়তে শুরু করেছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কি.মি দক্ষিণে অবস্থান করছে।