রহমত নিউজ 10 May, 2023 05:30 PM
ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ায় রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান রেইলিকে (২৩) দুই বছর সাত মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দোষ স্বীকার করায় তার ভোগ করা হাজতবাসকে কারাদণ্ড হিসেবে গণ্য করে এ রায় দেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১০ মে) চার্জগঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তাই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন আসামি নিজের দোষ স্বীকার করে নেন। এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াৎ এ রায় দেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, আসামি ইশরাত জাহান রেইলি বেগম বদরুন্নেছার কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষর্থী ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের নভেম্বর ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করেন। সে বিষয়ে আজ (বুধবার) তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যেহেতু আসামির ছোট একটি সন্তান রয়েছে, আর আসামি স্বেচ্ছায় অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাই আদালত তার হাজতবাসের মেয়াদ ২ বছর ৭ মাসকে কারাদণ্ড ধরে রায় দিয়েছেন।
২০২০ সালের ৬ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন ইশরাত জাহান রেইলি। আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান দীর্ঘদিন হাজতবাস এবং শিশু সন্তান থাকার বিষয়টি বিবেচনা করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানির সময় বিচারক বলেন, কারাবাস অনেক দিন হয়েছে। যদি আসামি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করেন তবে হাজতবাসের মেয়াদকে কারাদণ্ড হিসেবে ঘোষণা করে রায় দিতে পারি।
তখন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান আসামির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। আসামি প্রথমে রাজি হতে না চাইলেও আইনজীবীর পরামর্শে দোষ স্বীকারে রাজি হন।
ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৪) হাতে আটক হন ইশরাত জাহান রেইলি। ওই ঘটনায় রাজধানীর দারুসসালাম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। ২০২২ সালে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়।