রহমত নিউজ ডেস্ক 07 May, 2023 06:28 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন আইন তৈরি করেছে, এই সরকারের বিপক্ষে যেন কেউ কথা বলতে না পারে সেজন্য তারা আইন ও মামলা দিয়ে সকলকে ভয় দেখায়। এই সরকার দেশের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে না। তারা পদে পদে দেশকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে ভাগ করে। এই সরকার জনগনের সরকার নয়।
আজ (৭ মে) রবিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে বিএনপির ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শাখার সম্মেলনের ২য় অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, যুব দলের সভাপতি আবুনুর চৌধুরী প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের খারাপ কাজগুলো নিয়ে সমালোচনা করা তো কোনো রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়, এটাই গণতন্ত্রের নিয়ম। এই সরকার তাদের অন্যায় সম্পর্কে কেউ কিছু বললেই মামলা দিয়ে কণ্ঠরোধ করতে চায়। কিন্তু গণতন্ত্রের নিয়ম হচ্ছে সরকারের খারাপ কাজ নিয়ে সমালোচনা করতে হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার সেটা করতে দিতে চায় না। এই সরকার পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে মিডিয়া, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। আজকে দেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এখন সাংবাদিকরাও কিছু লিখতে পারে না। তাদেরও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, সারাদেশের মানুষ এক হয়ে বলছে ডিজিটাল আইন বাতিল করতে হবে। তখন আইনমন্ত্রী বলছেন, এই আইন বাতিল করা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সিদ্ধান্ত হবে এ দেশে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার থাকবে কিনা। মানুষ ভোট দিতে পারবে কি পারবে না। তাই আমাদের সমস্ত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ও সব জনগণকে একত্রিত করে আমাদের সংসারকে তছনছ করে দিয়েছে। দেশকে তছনছ করে দিয়েছে। তাকে সরিয়ে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কল্যাণমূলক সরকার নিয়ে আসতে হবে। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি- এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়েই নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য লড়াই করতে হবে। তাই আমরা ১০ ও ২৭ দফা দাবি দিয়েছি। সেই ২৭ দফার মধ্যদিয়ে আমরা এ দেশের আমূল পরিবর্তনের কথা বলেছি। সেখানে গণতন্ত্র, আইন-আদালত, মানুষের জীবন জীবিকার নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা ২৭ দফা দিয়েছি।