রহমত নিউজ 04 May, 2023 09:44 AM
ঢাকা থেকে বাবার মরদেহ নিয়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় গ্রামের বাড়ি যাবেন ছেলে। কিন্তু দ্রুত লঞ্চ ধরার জন্য কফিন ও বরফ কিছুই ব্যবস্থা করতে পারেননি মৃত ব্যক্তির পরিবার। শুধু সাদা কাপড় পেঁচিয়ে মরদেহ নিয়ে কর্ণফুলী-১১ লঞ্চে ওঠেন সন্তান।
এ সময় মরদেহটি লঞ্চের নিচতলায় রেখে চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। মরদেহ এভাবে সকাল পর্যন্ত কিভাবে রাখবেন? এমন সময় কর্ণফুলী-১১ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেন। পরে তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মরদেহটি লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ভিআইপি এসি কেবিনে রেখে যাত্রার ব্যবস্থা করে দেন।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) কর্ণফুলী-১১ লঞ্চের কেবিন ইনচার্জ জাফর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (২ মে) রাতে ঢাকা টু ভোলার কর্ণফুলী-১১ লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তির ছেলে মনির জানান, বাবা ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য লঞ্চ পাব না, এ কারণে কফিন ও বরফ ছাড়াই মরদেহ নিয়ে তাড়াতাড়ি করে উঠে পড়ি।
তিনি আরও জানান, কর্ণফুলী-১১ লঞ্চে বাবার মরদেহকে এত সম্মান দিয়ে ভিআইপি এসি কেবিনে রাখার ব্যবস্থা করে দিবে, আমরা কখনো ভাবতে পারিনি। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে লঞ্চ স্টাফদের কৃতজ্ঞতা জানাই।
কর্ণফুলী-১১ লঞ্চের কেবিন ইনচার্জ জাফর আহমেদ জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লঞ্চ ছাড়ার প্রায় পাঁচ মিনিট আগে মরদেহটি নিয়ে লঞ্চে ওঠে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। এ সময় আমরা দেখলাম মরদেহের জন্য বরফ ও কফিন কিছুই ছিল না। মরদেহের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তাই ভিআইপি ডিলাক্স এসি কেবিনে তাদের থাকার ব্যবস্থা করি। বুধবার (৩ মে) সকালে লঞ্চটি চরফ্যাশন ঘাটে পৌঁছালে মরদেহটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।
কর্ণফুলী লঞ্চের পরিচালক মো. সালাউদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাতে সংবাদটি যখন আমাদের জানানো হয়, আমরা লঞ্চ স্টাফদের সুন্দরভাবে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেই।
-আরটিভি