রহমত নিউজ ডেস্ক 03 May, 2023 10:03 AM
নেশাগ্রস্ত মাদাকসেবী বাবা, দাদি এবং সৎ দাদার অত্যাচার নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির বিরুদ্ধে এবং পিতৃত্বের অধিকার আদায়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রী মারিয়া খাতুন। মারিয়া খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর নারায়নপুর গ্রামের মেহেদী হাসান বাবু ও রোকসানা খাতুন দম্পত্তির একমাত্র মেয়ে এবং উত্তর নারায়নপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার বিকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে মারিয়া জানান, আমার বাবা মেহেদী হাসান বাবু নেশাগ্রস্ত মাদকসেবী, দাদি আফরোজা বেগম ও দাদির দ্বিতীয় স্বামী আমার সৎদাদা পল্লী চিকিৎসক মতিয়ার রহমান মতি আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জন্মগত কুৎসা রটানোসহ অত্যাচার, নির্যাতন, কুরুচিপুর্ণ এবং আপত্তিকর বিভিন্ন ধরনের অশালীন অপবাদ প্রচার করে আমার পিতৃত্ব পরিচয় অস্বীকার করে এবং আমাকে আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি এই অধিকার ফিরে পেতে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগীতা এবং হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমার বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই দেখে আসছি, আমার বাবা আমার মায়ের ওপর শারীরিক ও মানুষিক অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে যা বলে প্রকাশ করার মত নয়। আমার বাবা তার মা এবং তার সৎ বাবার কথামত এসব অন্যায় অত্যাচার করে থাকেন। এখন আমাকেও এই নির্যাতনের স্বীকার হতে হচ্ছে। গত সাত মাস যাবৎ অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং আমাদের অস্বীকার করে ঝিনাইদহ শহরের বাড়িতে উঠেছে। আমার দাদি আমার বাবাকে কাজ করতে দেয় না, ফলে সে নেশাগ্রস্ত মাদকসেবীতে পরিণত হয়েছে। মাদক সেবনের অর্থ যোগাতে তার মায়ের অবাধ্য হয় না। আমি এবং আমার মা বাবার বাড়ির অধিকার বঞ্চিত হয়ে কোন খরচ পাতি না পেয়ে দরিদ্র মামার বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
মারিয়া আরো জানান, আমি পরিস্থিতির শিকার হয়ে এখানে সবকিছু প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি। আমার দাদি আফরোজা বেগম বিভিন্ন সময়ে বলতেন আমি যদি বাড়ি থেকে বের না হই তাহলে সৎ দাদার মাধ্যমে শ্রীলতাহানি করাবে। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্তেও আমার লেখাপড়া, খাওয়া-দাওয়া পোশাকসহ কোনো খরচ তারা বহন করেন না। একপর্যায়ে আমার মা পারিবারিব সুরক্ষা আইনে একটা মামলা করেন। এ মামলায় রায় আমাদের পক্ষে আসে। শিশু মারিয়া পিতার অধিকার এবং পৈতৃক উত্তরাধীকারী হিসেবে ন্যায্য হিস্যা ও পিতার বসতবাড়িতে থেকে পড়াশুনাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে প্রশাসশনসহ বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন মারিয়ার মা রোকসানা খাতুন।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান বাবু ও তার মায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে অপর অভিযুক্ত মারিয়ার সৎ দাদা মতিয়ার রহমান এর সাথে তার ওষুধের দোকানে গিয়ে কথা হলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান তিনি কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বিষয়ে ১নং সাধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দিন ও ৩ নং সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ মোজাম্মেল হোসেন মারিয়ার দাবি ও অভিযোগ সম্পর্কে অবগত আছেন এবং তাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: খুলনা ঝিনাইদহ ঝিনাইদহ সদর