রহমত নিউজ ডেস্ক 05 April, 2023 08:39 PM
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য খাতের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তাই করতে বলেছেন। তিনি বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান করে দিয়েছেন। তিনি মৎস্য গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি করে দিয়েছেন। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ইলিশের উৎপাদন যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, মা ইলিশ সংরক্ষণ, জাটকা সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম সংরক্ষণসহ ইলিশের উৎপাদন যাতে কেউ কোনভাবে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
আজ (৫ এপ্রিল) বুধবার রাজধানীর মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষে 'ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রমের প্রভাব' শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। স্বাগত বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ সবখানে নদীর গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে। বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে যে নিরাপদ জায়গায় ইলিশ মাছ ডিম দেবে, যেখানে বাচ্চা হবে সে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। যানবাহনের পোড়া তেল-মবিল, শিল্প বর্জ্য নদীর পানিতে মিশে দূষণের ভয়ঙ্কর প্রভাবে মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে। এখন মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন অনেক সচেতন। তারা জাটকা সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করছে। তবুও কিছু কিছু জায়গায় কিছু দুর্বৃত্ত জাটকা নিধন করে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মোবাইল কোর্ট, অভিযান পরিচালনা, জেল-জরিমানাসহ বিভিন্নভাবে জাটকা নিধন বন্ধ করার জন্য কাজ চলছে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন অভয়াশ্রম তৈরি, প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে তা সংরক্ষণসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। বলেশ্বর নদীতে ইলিশের নতুন প্রজননক্ষেত্র ঘোষণা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যেখানেই মাছ উৎপাদনের জন্য নিরাপদ আশ্রয় দরকার সেখানেই অভয়াশ্রম তৈরি করা হবে। ইলিশসহ সবধরণের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার অভয়াশ্রম তৈরি করতে আগ্রহী এবং সেটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।