রহমত নিউজ ডেস্ক 27 March, 2023 04:31 PM
বিড়ি শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করাসহ চার দফা দাবি জানিয়ে বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন। দাবিগুলো হলো— ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধ করা, অবৈধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিড়ির মূল্য ১৮ টাকা থেকে ন্যূনতম ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা এবং নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা।
আজ (২৭ মার্চ) সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে শ্রমিকরা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের অবদান অপরিসীম। প্রাচীন শ্রমঘন এই শিল্প থেকে বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আহরিত হয়। দেশের সুবিধাবঞ্চিত লাখ লাখ শ্রমিক বিড়ি শিল্পে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ব্রিটিশ বেনিয়াদের দোসর ও নব্য মীরজাফর আত্মা, প্রজ্ঞাসহ বিভিন্ন অস্তিত্বহীন সংগঠন বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিভিন্ন অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বিড়ি শিল্পকে বন্ধ করতে বিড়ির কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে, যা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, দেশের লাখ লাখ শ্রমিকের অন্নসংস্থান বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে বিড়ি শ্রমিকরা তাদের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। এছাড়া অস্তিত্বহীন সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরো বলেন, বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কিছু অসাধু আমলা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিড়ির মূল্য বৃদ্ধি ও মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে থাকে। এতে মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের কর্মরক্ষার্থে বিড়ির মূল্য ১৮ টাকা থেকে ন্যূনতম ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করতে হবে। একই সঙ্গে নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধির জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো নানাভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে থাকে, যা বিভিন্ন সময়ে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। শুল্ক ফাঁকিসহ তাদের সকল প্রকার আগ্রাসন বন্ধ করে প্রাচীন এই কুটির শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে।