প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টির একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন পল ব্রিস্টো এমপি, জেন হান্ট এমপি, পলেট হ্যামিল্টন এমপি, এন্টনি হিগিনবোথাম এমপি এবং টম হান্ট এমপি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প  ও বিনিয়োগ  উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন. পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং  প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব  এম তোফাজ্জল  হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। 

প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিশেষ করে ওষুধ ও নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রতিনিধিদলটি মানসিক স্বাস্থ্য মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশে ক্রস-পার্টির প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে কিছুই জানতো না এবং তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ এটাকে মানুষের কাছে পরিচিত করেছেন। বাংলাদেশ অনেক দেশে বিভিন্ন ওষুধ রপ্তানি করে আসছে। বাংলাদেশ চায় আলোচনার মাধ্যমে  রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত বৈদেশিক নীতির কথা  উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কোনো বড় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে নারীরা এখন জাতীয় সংসদের নেতা, উপনেতা এবং স্পিকার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সরকারের সচিব এবং বেসামরিক ও সামরিক বিভিন্ন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশে কেউ  যেন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকে তা নিশ্চিত করতে তাঁর সরকার  আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।