রহমত নিউজ ডেস্ক 15 March, 2023 05:37 PM
দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি যে বক্তব্য দেন তা দেশবাসীর সাথে ঠাট্রা করার নামান্তর। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যার্থতা ঢাকতে তিনি ক্রেতা সাধারণকে রোজার মধ্যে বাজারে হুমড়ি খেয়ে না পড়তে বলেছেন! ‘ডলারের কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আইওয়াশ ছাড়া বৈকি। যেসব পণ্য আমাদের আমদানি করতে হয়, সেগুলোর দাম সারা বছরই বেড়েছে। এগুলোতো চর্বিতচর্বণ। রোজা উপলক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী কি উদ্যোগ নিয়েছেন সেটা দেশবাসী জানতে চায়।
আজ (১৫ মার্চ) বুধবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহাকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ এবং সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, রোজা আসার আগেই মুরগিসহ গরম্ন-খাসির মাংসের দাম বেড়ে গেছে। বেড়েছে দুধ-চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম। রমজান মাসে ঘরে ঘরে যে পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়, বর্তমান এই বাজার পরিস্থিতি আসন্ন রমজানে ক্রেতা বা ভোক্তা সাধারণের জন্য দুর্ভোগের আভাস দিচ্ছে। দামের সঙ্গে আয়ের সংগতি না থাকায় মানুষ দিশেহারা হয়ে গেছে। নিম্ন আয় ও নিম্নমধ্যবিত্তের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে কেনাকাটা। খাদ্য কেনার পর শিক্ষা, চিকিৎসার মত মৌলিক কাজে ব্যয় করার মত কোন অর্থ থাকতেছে না তাদের হাতে। নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এদের জীবনমানের অবনতি হচ্ছে। নিম্নমধ্যবিত্তদের কাছে গরম্নর মাংস এখন অসম্ভব জিনিস হয়ে গেছে। এটা যে সংকটময় অবস্থা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অতিমুনাফার কারণে পরিস্থিতি এ রকম হয়েছে। এখন সরকারের করণীয় হচ্ছে, ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, মানুষের আয়-রোজগার বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, র্যাব, পুলিশ-ম্যাজিট্রেট বাজার নিয়ন্ত্রণ-পর্যবেক্ষণ করার জুজুবুড়ির ভয় দেখিয়ে লাভ কি?