অবিলম্বে পোশাক খাতে মজুরি বোর্ড গঠনের দাবি

অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন, প্রকৃত শ্রমিক নেতাকে মজুরি বোর্ডে সদস্য নির্বাচন ও ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক নেতারা এসব দাবি জানান। অধিকার আন্দোলনের পরিচালনা পরিষদের সদস্য বাবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পরিচালনা পরিষদের সদস্য শ্রমিক নেতা ইয়াসিন মিয়া, শহীদুল ইসলাম সবুজ, রাজু আহমেদ, শবনম হাফিজ, আবু সাইদ, সাইফুল ইসলাম, বিপ্লব ভট্টাচার্য প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে গার্মেন্ট  শ্রমিকসহ নিম্নবিত্তের মানুষ আজ দিশেহারা। এমনকি মধ্যবিত্তকেও টিসিবির লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় ২/৩টি পণ্য কেনার জন্য। কিন্তু গার্মেন্ট শ্রমিকদের টিসিবির লাইনে দাঁড়ানোর সময় কই? গার্মেন্টস শ্রমিকরা সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত, কখনো কখনো তারও বেশি সময় গার্মেন্টসের পণ্য উৎপাদনে ব্যস্ত থাকেন। আর এই শ্রমিকরাই হাড়ভাঙা পরিশ্রমের বিনিময়ে মাস শেষে বেতন পান মাত্র ৮০০০/- টাকা।

অপরদিকে দফায় দফায় তেল গ্যাস বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। গত প্রায় ৫ বছরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। কিন্তু গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি এক টাকাও। এখন শ্রমিকরা বেতনের টাকায় ঘর ভাড়া পরিশোধের পর অবশিষ্ট টাকায় এক বেলাও পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন না, অনেকেরই অর্ধাহারে থাকতে হয়।

নেতারা বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকরা অনেক আগে থেকেই মজুরি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। তারা রাজপথেও নেমেছেন। হামলা মামলা ছাঁটাইয়ের মধ্যদিয়ে শ্রমিকদের দাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন, বোর্ডে প্রকৃত শ্রমিক প্রতিনিধি নিয়োগ, শ্রমিকদের জন্য ২৫ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণ, পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকার ও গার্মেন্টস মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় শ্রমিকরা পেটের দায়েই ঐক্যবদ্ধ হবেন ও রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা