অনতিবিলম্বে বিজাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করতে হবে : জমিয়ত

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে বিজাতীয় পাঠ্যপুস্তক পড়তে দেয়া হবে না। অনতিবিলম্বে বিজাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করতে হবে। বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক তৈরির সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মিথ্যাবাদী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনিকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। বিবর্তনবাদ ইসলাম বিরোধী কুফরি মতবাদ যারা পড়াবেন তাদের ঈমান থাকবে না। আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক ও ধর্মহীন বানানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইসলাম বিরোধী পাঠ্যপুস্তক তৈরি করা হয়েছে। মুসলিম জাতিসত্বার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

আজ (১০ ফেব্রুয়াারি) শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে বিজাতীয় আগ্রাসন বন্ধ, অনৈনসলামিক বিষয়গুলো বাতিল এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে বিশেষজ্ঞ আলেমদের যুক্ত করার দাবিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।  সংগঠনের উত্তরের সভাপতি মাওলানা মকবুল হোসেন কাসেমীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দলের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জল হক আজিজ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার ছয়ঘরী, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, ছাত্র জমিয়ত সভাপতি মাওলানা রেদওয়ান মাজহারী।

সমাবেশে অবিলম্বে বিজাতীয় পাঠ্যপুস্তক সম্পূর্ণ বাজেয়াপ্ত করার জোর দাবি জানিয়ে মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেন, যারা এদেশের কোমলমতি শিশুদের বানরের জাতিতে পরিণত করতে চায় তাদের উচিৎ আফ্রিকার জঙ্গলে চলে যাওয়া। বিতর্কিত ইসলাম বিরোধী পাঠ্যপুস্তক সর্ম্পকে প্রধানমন্ত্রী কিছু জানেন না বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কি দিল্লী আর মস্কোর ধ্যানে মগ্ন থাকেন তিনি কিছু জানেন না। প্রধানমন্ত্রীতো বিবর্তনবাদের পক্ষে নন। তা’হলে কিভাবে এসব বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক তৈরি হচ্ছে। গোটা জাতি এতে বিক্ষুব্ধ। ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কত লেখিকা এ দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ইসলামের দুশমনরাও বিজাতীয় পাঠ্যপুস্তক তৈরি করে এ দেশে টিকে থাকতে পারবে না।

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, বিবর্তনবাদ একটি পরিত্যক্ত কুফরি মতবাদ। যারা এই কুফরি মতবাদ পড়াতে তাদের ঈমান থাকতে পারে না। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কি করে পাঠ্যপুস্তকে কুফরি মতবাদ চালু করা হলো আর কি করেই মিথ্যাবাদী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ক্ষমতায় থাকেন তা’ প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে বিজাতীয় শিক্ষা সিলেবাদ বাতিল করতে হবে। না হয়, কাফনের কাপড় পড়ে বিজাতীয় শিক্ষা সিলেবাদ বাতিলের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র এদেশে সফল হবে না। ২০১৮ সালের নির্বাচনের স্বপ্ন ভুলে যান। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। কারাবন্দি সকল আলেম ওলামাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। জাতিকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মানবিক বিপর্যয়ে গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের রূহের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।