রহমত নিউজ ডেস্ক 06 February, 2023 05:08 PM
ডিম ও মুরগির দাম বৃদ্ধির জন্য কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে দায়ী করেছে ডিলার খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। সেই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর দৌরাত্ম্য কমিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের পোল্ট্রি খামারিদের সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, সহ সভাপতি বাপ্পী কুমার দে, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেইন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ প্রমুখ।
অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, প্রান্তিক খামারিদের ডিম উৎপাদন খরচ ১১ টাকা ১১ পয়সা, ১ কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৪৮ টাকা। সে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে ১১ টাকায় এবং মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। মুরগি, ডিম এবং ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বেশ কয়েকটি কর্পোরেট কোম্পানি। প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা মোট চাহিদার ৯০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে। মাত্র ১০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করলেও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কর্পোরেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। যার ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা আজ হুমকির মুখে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য পোল্ট্রি স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে ২০১০ সালে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির কৌশলপত্র গঠন করলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অনুমতি থাকলেও সেটা তদারকি করা হয় না। ফলে কোম্পানিগুলো প্রান্তিক খামারিদের কন্ট্রাক্টে নিতে বাধ্য করে। ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে খামারিদের লোকসানের মুখে ফেলে দেয়। এ অবস্থায় সরকার যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে প্রান্তিক পর্যায়ের পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংসের মুখে পড়বে। এতে ডিম ও মুরগির বাজার জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। এ অবস্থায় পোল্ট্রি শিল্প রক্ষার্থে ২০০৮ পোল্ট্রি নীতিমালা, ২০১০ পোল্ট্রি ফিডসহ যাবতীয় নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। খামারিদের নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে, পোল্ট্রি খামারিদের জন্য জামানতবিহীন লোনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও লোকসানের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ভর্তুকি দিতে হবে।